মার্গে অনন্য সম্মান রীতা চক্রবর্তী (সেরার সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ১২৩
বিষয় – পলাশ ফুল

পলাশ প্রিয়া

ওগো শুনছ! শুনছ নাকি! কে আছো এখানে?
আকাশ পারে আগুন বুঝি লেগেছে বিহানে!
ভোরের আলো ফুটল যখন দেখি পলাশ বনে।
ঋতুমতী বসুন্ধরা সাজছে লোহিতস্নানে।

ফুলেরা কি ফুটল বনে? জানো কি তা কেউ?
সিঁদুর কেন পূবের কোণে ? সাদা মেঘের ঢেউ!
দেখি কেবল রক্তিম ডোরে পাপড়িটি বোনা ।
টুকটুকে রঙ ঘোমটা যে তার জড়ির ওড়না ।

ওগো পলাশ, ওগো লজ্জা রাঙা বঁধূ!
সূর্য তেজা দহন দিনে রঙিন মনের মধু।
ওই যে বাঁশি বাজে দুরে পাগলা ঝোরার বাঁকে।
উথল পাথাল দোদুল এ’মন ওই বুঝি কেউ ডাকে।

ওই বাঁশিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় উচাটন মন।
কেমন করে বেঁধে রাখি পাগল দু’নয়ন?
চিকনকালা সাজছে যে আজ বসুমতীর হারে।
ফাল্গুনের এই দখিন হাওয়ার সোহাগী বাহারে।

মৌটুসী মন ধকাস ধকাস বাহা পরব আসে ।
যুগান্তরের রসিক এবার আসবে ভালোবেসে।
সুখের আগুন ছড়িয়ে পরে লাল পলাশের ফাগে।
পত্রহীনার শাখায় শাখায় বাসন্তী সুর জাগে।

রাঙা মাটির কন্যে সে যে অঙ্গার তার কাজল।
ঝরা ফুলে সাজিয়ে তোলে রুক্ষ মাটির আঁচল ।
কিংশুক আর অশোক সাথী মন রাঙানো মেয়ে।
বসন্তের ওই বৌরী’সখা দিগবধূদের প্রিয়ে।

পাঁচটি বানের কেয়ূর কাঁকন কুহুতানের বোলে।
বৌ কথা কও ডাকে কোথাও কৃষ্ণচূড়ার কোলে।
ভালোবাসার রংয়ে ভরা বসন্তের এই পরী।
পলাশ নিয়ে ফাগুন আসে ভাসিয়ে প্রেমের তরী।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।