|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী
by
·
Published
· Updated
শিল্পী
সুচরিত সেন। ডাক সাইটে শিল্পী। তার তুলির ছোঁয়ায় নাকি সবাই মোহিত হয়ে যায়। দশ বছর ধরে প্রচুর নামডাক। বিখ্যাত বলতে যা বোঝায়, আক্ষরিক অর্থেই তাই। সম্প্রতি তিনি একটি ছবি আঁকবেন ওয়ার্ল্ড আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য। একে বিশ্বের সবচেয়ে দামী পুরস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়। সুচরিত চললেন পাহাড়ে। বরাবরই ছবি আঁকতে তিনি পাহাড়ের মনোরম সৌন্দর্য্যকে বেছে নেন। স্নিগ্ধ পাহাড়ের চূড়ায় দুরন্ত রিসোর্টের বাগানে চলছে তার আঁকা। টানা নয়ঘন্টার পরিশ্রমে প্রায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন এক অপূর্ব মুখাবয়ব। ক্লান্ত শরীরে শুয়ে ভাবেন, কাল সকালে ফিনিশিং টাচ দেবেন। ঘুম ভাঙে ভোরবেলায়। ফ্রেশ হয়ে বসার ঘরে এসে হতচকিত। আঁকা মুখটি পাল্টে গেছে। ভয়ার্ত চোখে সামনে যায় সুচরিত। চেনা চেনা লাগছে। পাহাড়ের ওঠার সময় গাড়ির ধাক্কায় একটি লোক খাদে পড়ে যাচ্ছিল সেরকম….. । ঝামেলার ভয়ে তাকে বাঁচাতে যায় নি। অমানুষিক কাজ করে ফেলেছে। সেই মুখটিই তো…..।
কানে বাজে, স্কুলের হরিপদ স্যারের কথা ‘ যত বড়ই হোস না কেন….মনুষ্যত্ব না থাকলে বাকি সব বৃথা’।