|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় পারিজাত সেনগুপ্ত
by
·
Published
· Updated
স্বমাংস
“এক কিলাে রাণ থেকে, সাথে একটু মেটে দিয়ে দেবেন।”- বলে জ্যোতি একটা বড় সিগারেট ধরিয়ে সুখটান দিল। ধুয়ােতে সব দুঃখ তালগােল পাকিয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে। ঈষৎ তেরছা করে হাত বাড়িয়ে টাকাটা গুনে দিল সুলেমান ভাই-এর হাতে। রিক্সাটা এত আস্তে যাচ্ছে কেন? হুংকার ছাড়লাে- “স্পিড বাড়াও।” ওমা! সবাই এত হাঁটছে কেন? নিজের মধ্যে অহংকার উঠল সবাইকে পিছনে ফেলে চলে যাওয়ার। পনেরাে টাকা রিক্সাভাড়া! ড্যাম চিপ। ঠক, ঠক সিঁড়িতে আজ জুতাের শব্দটা হিটলারিয় মেজাজ বহন করছে যেন। মা এসে দরজা খুলতেই লজ্জালজ্জা মুখ করে জ্যোতি পুনরায় ঈষৎ তেরছা করে বাড়িয়ে বলল, ‘মাংস’। হাত মুখ ধুয়ে নে, চা দিচ্ছি’ বলে মা রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ালাে। বােন নবি বলে উঠল- “একটু কষা রেখাে মা আমার জন্য, মনে হয় সর্দি হবে।” বাবা বলে উঠল- “আমাদের সময় তাে খাসির মাংস ছাড়া কিছু ঘরে ঢুকতােনা, মুরগি তাে পাখি।” জ্যোতি কিছু বলার আগেই রান্নাঘর থেকে আর্তনাদ করে মা বেরিয়ে এসে বলল, “বালা, তুমি আবার খুনাে- খুনি করে ভাই- বােনের মাংস খাওয়া শুরু করেছ?”