হৈচৈ ছোটদের গল্পে পার্থ প্রতিম দাস

পিঁপড়ের সাধ পূর্ণ

বনের মধ্যে একটা পিঁপড়ে ছিল। প্রবল বর্ষায় তার মাটির গর্ত ডুবে যায়। তখন পিঁপড়ে নতুন শুকনো জায়গার খোঁজে বের হয়। ভুল করে সে হাতি চলাচলের রাস্তায় এসে পড়ে ও হাতির পায়ের তলায় ঘন ঘাসের নীচে চাপা পড়ে ভীষণ রকমের আহত হয়। ঘাসের নীচে সেই রকম আহত অবস্থায় পড়ে থেকে দেখে ঘাস ফুলের ওপর সুন্দর সুন্দর প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে। পিঁপড়ে ভাবলো, তার যদি ডানা থাকতো তাহলে তার এমন অবস্থা হতো না। উড়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারতো।
পরদিন সকাল হয়েছে। গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়েছে পিঁপড়ের গায়ে। পিঁপড়ে ঘুম ভেঙে দেখে পিঁপড়ের দুটো ডানা হয়েছে। পিঁপড়ে তখন প্রজাপতিদের সাথে থাকতে গেল। প্রজাপতিরা বলল, “তুমি, আমাদের লোক না। তোমার দলে গিয়ে থাকো।”পিঁপড়ে তখন মন মরা হয়ে বসে আছে গাছের তলায়। এক সারি পিঁপড়ে চলে গেল। কেউ আর তাকে সাথে নিল না।
এমন সময় কোথা থেকে এক চড়ুই পাখি এসে ওই পিঁপড়ের উপর হামলা করলো। পিঁপড়ে ভয়ে উড়ে গিয়ে লুকিয়ে পড়লো। সারাদিন আর বের হলো না।
সূর্য অস্ত গেলো। জোনাকির আলো আর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে যেন সারা বনভূমি অপূর্ব সুন্দর হয়ে উঠেছে। পিঁপড়ে বেরিয়ে পড়লো। সারা বনে উড়ে উড়ে বনের ধারে একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছল। গ্রামের ঘরে ঘরে তখন আলো জ্বলে উঠেছে। ওই আলো গুলো যেন পিঁপড়েকে ডাকছে, “আয় আয়, সমস্ত সুখ আনন্দ এই খানে। আমরাই তোর আপনজন।”
পিঁপড়ে তখন সেই আলোর দিকে নাচতে নাচতে উড়ে গেল।
মাঝ রাত হতেই পিঁপড়ের ডানা গেলো খসে। আর সোজা গিয়ে পড়লো মস্ত বড় ব্যাঙের আঠালো জ্বিহায়। ব্যাঙ তৎক্ষণাৎ পিঁপড়েকে চালান করলো পেটের মধ্যে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *