ক্যাফে অণুগল্পে প্রদীপ কুমার দে

স্বপ্নের সুন্দরী
সেই কথায় আছে না?
ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে!
আমাদেরও সেই দশা!
স্থান, কাল, পাত্র অবিবেচ্য বিষয় হয়ে পড়ে যখন আমরা সূযোগ পেলেই আমাদের নাই মামার ধন একটিই সেই সাহিত্য নিয়ে কাটাছেড়া করতে ব্যস্ত থাকি,
যেমন হল গতকাল সন্ধ্যায় ……
ঘুম আসছে না …
ঝিমুনি এসে ফিরে গেল,
স্বপ্নের ভাড়ারে টান পড়েছে।
কেন এত অভাব?
সব্বাই যে লুঠে নিচ্ছে।
— না না, ভাগ বাটোয়ারা হবে না। আমি একাই স্বপ্ন দেখবো।
আমি ওকে কিনে নিয়েছি যে…
পিছনে কাটি দিতে কেউ ছাড়ে না,
— স্বপ্ন কে কি কেনা যায়?
আমিও কম যাই না। একগাল শুনিয়ে দিয়েছি, পাশের বাড়ির হনুকর্তাকে,
— আপনি আপনার মতন কথা বলেন। স্বপ্ন কে যদি নাই বা কেনা যায় তাহলে জমি কি করে কেনেন? বউ কি করে পোষেন?
— আগের দুটো কি এক হল? আর বউ পুষি মানে?
— কেন নয়? বউ তো আপনার একার? তাই না ? আর বাকী পড়ে রইল স্বপ্ন আর বাড়ি? ওই দুটি আসলে একটা মাটি অন্যটা হাওয়া।
লোকটা আমায় পাগল ভেবে কেটে পড়ল। আমার ধান্ধা স্বপ্ন আসুক আর সঙ্গে সুন্দরী। ওকে নিয়েই তো রাত কাটে। বেকারের বাস্তব নেই। মাটিও নেই।আছে শুধু হাওয়া আর মনটা উঁচু তাই স্বপ্নজালে নিজেকে জড়াই সুন্দরীকে জড়াতেই!
আর এখন সেই স্বপ্নের অভাব!
স্বপ্নসুন্দরীরা এখন সুযোগসন্ধানী যে …!