অনুগল্পে পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জি

ছুপা রুস্তম
এক ব্যাংকের ব্যস্ততম ‘এসপ্ল্যানেড’ শাখাতে বেশ কাজের চাপ আছে। সব কর্মচারী তো আর গ্রাহকদের কথা ভেবে কাজ করেন না। আবার অনেক গ্রাহক সামান্য দেরি হলেই গুষ্টির তুষ্টি করে ছাড়েন। এই দুইয়ের মধ্যে লিংক ম্যান হিসাবে কাজ করেন শান্ত ভাবে ব্যাংক করণিক অনিল। বিয়ে থা করেননি। সাতে পাঁচে থাকেন না। প্রমোশন নেননি। একমাত্র অসুস্থ মাকে নিয়ে অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেননি। সবার কাছে অনিল এক আদর্শ পুরুষ। সবাই ওঁকে ভালোবাসে।
তখন সন্ধ্যা ছয়টা। কোন গ্রাহক আর নেই। কয়েকজন স্টাফ অসমাপ্ত কাজ সামলাতে ব্যস্ত। বিশাল হল ঘরটার এক কোণে চারজন মাঝবয়সী কর্মী বসে আড্ডা দিচ্ছেন। রোজ প্রায় সাতটা পর্যন্ত এই আড্ডা চলে। ম্যানেজার কখন কাজ থামাবেন তার কোন স্থিরতা নেই। অনিল ম্যানেজারের নির্দেশ মেনে একটি ফ্যাক্স করতে চলেছেন সেই কোণে যেখানে আড্ডা জমে উঠেছে। ফ্যাক্সের মেশিনটা ওখানেই বসানো আছে। বেশ কয়েক পাতা ফ্যাক্স করতে অনেকটা সময় লাগলো। অনিল শুনতে পাচ্ছেন, মদের দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই চারজন প্রায়ই অম্বরে যান, এ কথা অনিল জানতেন। ফ্যাক্স করতে করতেই তিনি হঠাৎ বলে ফেললেন, “মিশন রোতে আইসিআইসিআই ব্যাংকের পাশে একটি ছোট বারে দুপুর বারোটা থেকে দু’টো পর্যন্ত মদের দাম বেশ কম থাকে।”
চার আড্ডাবাজের মুখে কোন রা নেই।