|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় প্রদীপ কুমার বর
by
·
Published
· Updated
সুবিচার
সাদা আকাশের বুকে হালকা কালো মেঘ দাঁত দিয়ে ফালাফালা করে নীলিমা। বিদ্যুৎ ঝলসে ওঠে আঁকা বাঁকা।সোঁ সোঁ শব্দে সানাই বলে সে নাই।এমন সময়-
“রবীন, বাড়িতে আছো?”-জিজ্ঞেস করে সুনীল।
রবীন-“হ্যাঁ রে,আয় দরজা ঠেইলা।”
রক্তে রঞ্জিত পরণের ছেঁড়া জামা।স্যুটের মাঝেও রক্তিম আল্পনা।উন্নত প্রশস্ত ললাট ছুঁয়ে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি নাসারন্ধ্রের রক্ত কনিকা গুলোকে ভেঙে প্রসারিত করছে।
রবীন- “একি সুনীল!তোর না আজ বিজয় দিবস? তবে এ–ই—দশা,,,,”
“মুখে মুখোশ পরা ঠ্যাংঙাড়ে লোক গুইলা মাইরা দিছে রে,,,,”
“আন্দাজ করতে পেরেছিস?”-রবীন বলে।
“না রে।আঃ আঃ একটু জল দে না রে,,,”
রবীন মেঘলা দিনে বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারের বুক চিরে একগ্লাস জল নিয়ে এসে দেখে মাটিতে লুটিয়ে সুনীল।
“এ–ই–সু–নীল!ওঠ না রে,,, হাঃ হাঃ হাঃ ওঃ।”
অগত্যা পুলিশ আসে।ধরে রবীনকে। চলে আদালত পর্ব দীর্ঘ সাত বছর।চালশে ধরা রবীনের চোখ এখন চশমা ছাড়া ঝাপসা। ভাগ্যটাই যে ঝাপসা তার।
রায়দান শেষে অবশেষে মুক্তি। ঝাপসা চোখে আসামি দের দিকে তাকিয়ে ঘৃণা ভরে বলে –
“নিষ্ঠুর খেলা যতোই খেলো নরাধম, পাপের শাস্তি তোমাকে দিয়েই ছাড়লো। শুধু আমার সাতটি বছর হারিয়ে গেল,,,!হাঃ হাঃ হাঃ”।