ফুটপাথে দোকানদারি করেন , তার আবার ফিক্সড প্রাইস। হুঃ। খুব তাচ্ছিল্য করে বলে রিমা। লোকটা মুখ নামিয়ে নিল ঝট করে। মাটিতে পাতা পলিথিনের ওপর সার সার দিয়ে সাজানো প্লাস্টিকের কন্টেনার , জলের বোতল , মশলাদানি ইত্যাদি । হাতিবাগান থেকেই কেনাকাটা করতে পছন্দ করে রিমা। হরেকরকম জিনিস । যা যা লাগবে সংসারে , ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নিয়ে নিলেই হলো। এই লোকটার কাছে একটা আনারস জলের বোতল পছন্দ করে নিতে চেয়েছিল। একটা টাকাও নাকি কমাবেনা। ছুঁড়ে বোতলটা রেখে দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে চলে আসে রিমা। খানিকটা এসে একটা জুয়েলারির দোকানে দাঁড়ায়। পার্ল এর শো রুম । ঢুকে পড়ে । ছোটোখাটো একটা নেওয়াই যায়। কী দুরন্ত সব নোজ পিন, ইয়ারিং। একটা ছোটো ঝুমকোর দাম করে রিমা । সেলস এর ছেলেটি এগিয়ে এসে বলে মে আই হেল্প ইউ ম্যাম। হ্যাঁ , এইটার কি দাম আছে। ওটা তেরশ পন্ঞ্চাশ ম্যাম। একটু কম হবেনা। পুরোপুরি নাইন হানড্রেড করলে নিয়ে নিতে পারি। আজকে অতটা প্রিপারেশন নিয়ে আসিনি আরকি।
স্যরি ম্যাম। হাজারের নিচে আমাদের কোনো আইটেম নেই। আমাদের সব ক্লাসিফায়েড কাস্টমার । ও আচ্ছা । থাক । আসলে দরকার কিছু নেই। ঐ দেখে গেলাম আরকি। পরে কখনো নিয়ে যাব। কথা গুলো বলতে বলতে গলার কাছে দলা পাকানো কষ্ট হচ্ছে রিমার। কি মনে হলো , দোকান থেকে বেরিয়ে আবার সেই প্লাস্টিকের কন্টেনার বিক্রি করা লোকটার দোকানে গেল। শুনুন, লোকটা হাঁ করে তাকালো। আমাকে না , পারলে ক্ষমা করে দেবেন । আমার ঐভাবে আপনাকে বলাটা ঠিক হয়নি। স্যরি। কিছু মনে করবেন না। লোকটা স্থির তাকিয়ে থাকল রিমার দিকে যতক্ষণ না পর্যন্ত সে ভিড়ে হারিয়ে যায়।