কবিতায় পল্লব ভট্টাচার্য অনন্ত

বেঁচে থাকুক গণতন্ত্র
এখন প্রশ্বাস নিতে হয় নিঃশব্দে;
নিঃশ্বাস ত্যাগ করি লুকিয়ে লুকিয়ে।
চোরের মতো আত্মগোপন করি
অন্ধকার ঘরের কোনো এক গোপন কোনে।
জানলা খুলি ভয়ে ভয়ে, উঁকিঝুঁকি দিই,
দরজার খিলটা যথাস্থানে আছে কিনা-
আনমনে বারবার নেড়েচেড়ে দেখি!
দ্বারে যখন কড়া নাড়ে কেউ—
ভাবি, এই বুঝি এল- ওই হায়েনার দল।
তড়িঘড়ি আলো নেভাই, এধার ওধার ছুটি।
কোথায় লুকিয়ে রাখি, আমার সোমত্ত কন্যাটি!
ভরসা পাইনা, সাহস হয়না, স্ত্রীও যাবেনা বাদ
সমাজটায় ঘুন ধরেছে, ন্যায় নীতি বরবাদ।
রাজনৈতিক নেতার জুলুম, অন্ধ প্রসাশন
শিক্ষা, সাস্থ্য, নিজেই রুগ্ন, ভবিষ্যত আধমরা
আশাবাদীদের বিশ্বাস যেন নিয়তই প্রহসন।
আলতার শিশি পথে পড়ে, রক্ত ভাবি তাকে
প্রান আছে, তবু নীরব— সব সয়ে চুপ থাকে।
পালা করে আসে আহ্বান- পালাবদলের ডাক–
ভোট, ভেট আর বারুদ, রক্ত, একসাথে মিলেমিশে
ভাঙা বুকে তবু বলছি নীরবে গণতন্ত্র বেঁচে থাক!