সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে পিয়াংকী (পর্ব – ২৬)

স্টেশন থেকে সরাসরি
ইংরেজি ১৩ই ডিসেম্বর ২০২১
বাংলা ২৭শে অগ্রহায়ণ ১৪২৮
সোমবার
বাঁশি বাজছে কোথাও। ভেসে আসছে মিহিদানাস্বর। তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি বিগত কয়েক যুগ। ধেয়ে এলে না কেন? কেন খুবলে তুলে নিলে না একমুঠ কাঁকর? কেন চোখের পাতায় ফুঁ দিয়ে সরিয়ে দিলে না পথের বালি?এসব উত্তর দিতে গেলে একটা জন্ম তোমায় ঋণ নিতে হবে তাই আপাতত গুটিয়ে নিলাম দড়ি । ফেলে আসা ঘটের ফুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছিটিয়ে দিলাম ভরা রাস্তায়।লোকজন এল মাড়িয়ে গেল কুয়াশাভোর, যতটা দূরত্ব স্বেচ্ছায় বাঁধা রইল ফুলকল্কাছাপ জর্জেট শাড়ির কুঁচি-আঁচল ঘিরে ততটা মায়া কেন লক্ষ্মীমন্ত শাপলা হয়ে পেঁচিয়ে নিল না আমার পূর্বপরজন্ম। থ হয়ে বসে রইলাম পুকুরঘাটে।
শোকসভা বসালেন যারা তাদের সকলের হাতে খসাপাতা আর কিছু ঝরে পড়া ফুল দেখে তড়িঘড়ি কিনে আনলাম ক’টা মাটির পাত্র। খানিক সেজে নিলাম এ আয়োজন অনুযায়ী, গাছেরা দেখতে এসে নিজেরা বলাবলি শুরু করল,” এই মেয়ের গায়ে তো কোথাও কোনো উল্কি নেই”। পোশাকটুকু ঝুলছিল একটা গাছের মরা ডালে। আমি আঙুল দিয়ে দেখালাম সেই গাছটাকে, ওরা বুঝতে চাইছে না কিছুই। শেষ পর্যন্ত আমাকে টেনে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে হল চামড়া, তখনি আচমকা দেখি আমার ভেতর ঘরবাড়ি বানিয়ে সংসার পেতেছে কল্কিপুরাণ। সেই প্রান্তিক পোশাকের দিকে ইশারা করে অনেক সাহস নিয়ে সেদিন আমি বলেছিলাম, ” গোধূলি ফুরিয়ে গেলে, অন্ধকার আরেকটু গাঢ় ঘন হলে আসুন, সন্তাপ সাজিয়ে রাখব আপনাদের অভ্যর্থনায় “
সেই -অপেক্ষায় এখনও আমার বুকে বেড়ে উঠছে আপেল গাছ আর সাদা বক…