T3 || আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস || বিশেষ সংখ্যায় পিয়াংকী

বাইশ অথবা তেইশ
একুশ একটা বিপ্লবের নাম, যে নামে নেমে আসে জাতীয় খতিয়ান, উত্তরণের সিঁড়ি আদরের ডিঙি অথবা মহল্লার চিৎকার। এই নামের প্রান্তিক স্টেশনে নামব ভেবেও উঠিয়ে নিই পা কারণ প্রখর রোদ বলে দেয় আমি নেভার জন্য জ্বলিনি
একুশ একটা নির্দিষ্ট অঞ্চল , যে অঞ্চলে আমরা আঞ্চলিক হই না কোনদিন। যে এলাকায় কক্ষনো ডুবে যায় না সূর্য, অস্ত যাবার মত ভ্রম মিইয়ে দেয় না বুকের উষ্ণতা
একুশ একটা পোশাক, যা পরবার জন্য কারোর কোনদিন শিক্ষা ডিগ্রি এসব লাগেনি, লাগেনি সেলসিয়াস বা ফারেনহাইটের উপযোগী স্কেল। যেখানে অনায়াসে জামার বোতাম সেলাই করা গেছে জনসমক্ষে, সেলাই করা গেছে কাপড়ের ফুটো
একুশ বর্ণনায় গালাগাল থেকে প্রেম পর্যন্ত বিস্তৃত রেললাইন, অভিযোগ থেকে ঝামেলা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যানজট আর টু বি কন্টিনিউড লেখা প্ল্যাকার্ডে অসম লড়াইয়ের শহীদবেদী ফুলের মালা
একুশ সম্ভ্রমের দায়,সম্ভ্রান্ত অবয়ব, স্বপ্নপূরণের জানালা।যে জানালা পেরলেই দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন, কু ঝিকঝিক করে বয়ে চলে হাজারো মাতৃভাষা, আমরা পেরিয়ে যাই অচেনা গোধূলি আর মানচিত্রের দাগ
একুশ একটা একটা করে লক্ষটা একুশের যোগফল। এর কোনো বিনাশ নেই শুধু বিস্তার আছে, রাগপ্রধান মিঁঞামল্লারের কোল ঘেঁষে যেমনভাবে শুয়ে থাকে তবলার সঙ্গত ঠিক তেমনভাবে প্রতিটি একুশে’র স্মরণসভায় লেগে থাকে মায়ের আঁচল আর হাতের গন্ধ
আসলে প্রত্যেকটা একুশ মানেই প্রত্যেকটা বাইশ তেইশ চব্বিশ…
তারিখ নয়! ঊনিশ কুড়ি একুশ হল আমাদের অবসাদমুক্তির অলিখিত উপাচার।