সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে পিয়াংকী (পর্ব – ২৭)

স্টেশন থেকে সরাসরি

বাংলা ২৪শে মাঘ
ইংরেজি ৭ই ফেব্রুয়ারি
সোমবার

“সমারোহে এসো হে পরমতর সুন্দর এসো হে”

একটা বৃক্ষ, যতদূর তার বিস্তৃতি ততদূর বিস্তারিত উৎসব। সামনে দাঁড়িয়ে আছে জন্ম, প্রবেশাধিকার লেখা কাগজে দু’চারটে পায়রা আর বকের ওড়াউড়ি , বয়ে যাচ্ছে জল,জলের ওপর জল।ঢেউ ঢেকে দিচ্ছে চরাচর। চরাচর শব্দটার সাথে আজন্মকালের বন্ধন।গভীর দৃঢ়। নদীতে জোয়ার নেই,তবু কিভাবে যেন এগিয়ে যাচ্ছে অস্তিত্ববাহী একটি নৌকো। জলে মাছ অরণ্যে জন্তু আর আকাশে পাখির মত আরও যা যা সত্ত্বাযুক্ত তার সবটুকুই অক্ষত। তবু কী যেন নেইনেই। মাননীয়া বলতে আমি নিজেকে বুঝি আপনাকে বুঝি তাঁকেও বুঝি, তবু সবটা কি বোঝা যায়?যায় না তো। অযথা মিথ্যে অভিনয়ই ভরসা। তিঁনি চলে গেলেন সাথে নিয়ে গেলেন একটা পরিপুষ্ট পৃথিবী। চলে যাওয়ার আগে আমরা হাত-পা ছুঁড়লাম কত,কাঁদলাম হাউহাউ করে, জানালা দিয়ে গলিয়ে দিলাম মাথা, যাতে কাঠকুটো সন্ধান করতে এসে ফিরে যান কাঠকুড়ানি বউ সেইজন্য শিকল দিয়ে বেঁধে দিলাম সমস্ত গাছপালা।তবু…

আগুনকে বশ মানাতে পারা গেল না। দাবানল এসে পুড়িয়ে দিল এযাবৎ জমা করা যাবতীয় সংরক্ষণ। নিরাপত্তাহীন গহীন অন্ধকার তুলে নিল এক গ্রাস ভাত। উপায় থাকে না কিছু,যখন লুটিয়ে পড়ে জ্যোতস্না। যমুনার জলে আবক্ষ মূর্তি, ভেসে যায় সঞ্চয়। আমরা হাত মুঠো করি।আঁজলা ভরে তুলে নিই মৌতাত।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।