আজও অর্থহীন পাগলামির স্মৃতিটুকু আমার
মনের বারান্দায় দোল খায়,
তুমিতো ফুলের ছায়ায় ডুবে আছো বৃক্ষ
আয়ুর ঘামে ভেজা হাত তোমাকে ছুঁতে ভয় পায়!
ভাষার গন্ধমাখা রাত
ভাঙ্গা তরীতে বসেছি প্রাণনাথ—
তুমি কি শুনতে পাও না
শুনো না তার বাঁশরী
কোন সুরে আঁধার উজ্জ্বল হয় বেদনায় ?
পূর্ণিমার চাঁদ ময়ূরীর পালকের মতো
গভীর অধীর আনমনে অবিরত
দুলতে দুলতে এদিকেই তাকায়—
ডেকে বলি হে জীবন;
তুমিতো দিয়েছো অল্প ভূমি কাছে ডেকে মায়ায়
একটু সামনে পা দুখানি বাড়ালেই
তার ছাদ বড় বেশি আঘাত করে মাথায় ।
বুকের ক্ষত নিয়ে পাথরের পাশে মাথা নত
করে দাঁড়ালে তারও ভাষা ফুটে মুখে,
নিজের কষ্টের কথা বলো না সেই পাষানের কাছে
যে মাটির কাফনে জীবন দিয়ে জীবন লিখে সুখে ।
তুমিতো সাগর জলে ভিজেই আছো ওয়াহিদ,
তোমার পথটি তার ঘর পর্যন্ত যাবে
কেনো ভাবছো এতো ? লিখো একটি কবিতা
যে কবিতাটি তোমার মৃত্যুর পর অমর হবে ।
তুমি কি বুঝোনা ? কবিতা জলে আর আগুনে
সমান ভাবে নিজেরে চরায় ।