ফাগুন এসেছে বুঝি বলে যায় পলাশের বন
ভোমরার গুনগুন ঝিরি ঝিরি সমীরণ বয়
মনের দুয়ারে আজ কেন জানি জাগে শিহরণ
এসেছে প্রেমের দিন কানে কানে কেউ বলে যায় ।
কিশলয়ে চেয়ে দেখ প্রকৃতির সাজ হল আঁকা
সবুজের সমাগমে ডালে ডালে ফিরেছে যৌবন
বসন্ত লাগায় রঙ লালে লাল শিমুলের শাখা
কোকিলের কুহুতানে ভরে ওঠে সবাকার মন ।
সোনাঝুরিলতা দোলে রোদ লেগে চমকায় সোনা
পাখিরা ব্যস্ত এখন বাসা বাধবার আয়োজনে
রামধনু প্রজাপতি মেলেছে রঙিন তার ডানা
হরষে মাতন লাগে ঘরে ঘরে প্রতি প্রাণে প্রাণে ।
উলসিত নদী যেন প্রেমের আবেগে ঢেউ তোলে
উথলে উথলে উঠে বাতাসের সাথে করে খেলা
মাতাল বাতাসে ভেসে গাঙচিলও পাক খেয়ে চলে
তটিনী তটের চলে প্রেমালাপ কত কথা বলা ।
এমন ফাগুন দিনে উদাস এ মন খুঁজে ফেরে
চেয়ে থাকে পথ পানে যে পথে প্রেয়সী তার চলে
হারালে চোখের পরে একতারা বিষাদের সুরে
বেজে ওঠে টুং টাং বিরহের কথা যায় বলে ।
ঐ কৃষ্ণচূড়ার রঙ গায়ে মেখে প্রেমিক প্রেমিকা
পলাশের রঙ হাতে মেতে ওঠে ফাগুয়ার রঙে
সলাজ নয়ন চায় আদরের লাল জয়টিকা
রাঙিয়ে প্রেমিক মন সাজবে সে নববধূ ঢঙে ।
বসন্তে চলেছে বুঝি বাতাসে বাতাসে কানাকানি
ঋতুরাজ এসে গেছে উদিত যে প্রেমের সবিতা
এ ভরা বসন্তে তাই হয় বুঝি মন জানাজানি
কবির কলমে ফোটে মধুভরা প্রেমের কবিতা ।