কবিতায় স্বর্ণযুগে নিবিড় সাহা

অবরোধ

মেঘ গুলোকে ছুঁতে গেলেই
পাথর হয়ে যায়,
ছোটো, বড়, মাঝারি নানা আকারের পাথর l

হুড়মুড়িয়ে এসে পরে,
অবরুদ্ধ হয়ে যায় সড়ক l
ক্রমশ শেষ হতে থাকে রসদ, কিন্তু
শুধু প্রতীক্ষা ছাড়া আর কিছুই থাকে না l

আর ছুঁতে যাবো না মেঘ,
সে যতই বৃষ্টির প্রয়োজন হোক
আর বাড়াবো না হাত ওই মেঘলা আকাশের দিকে l

লাস্ট ট্রেন

রাতের সাথে স্টেশনের এক রসায়ন l
ঘনীভূত হয় লাস্ট ট্রেন ছেড়ে চলে গেলে
নিঃস্তব্ধতা, ক্লান্তি মাখানো গভীর প্রেম,
ভাগ্যিস, তুমি অনেক আগেই ট্রেন পেলে l

স্টেশনের ঠোঁট কামড়ে ধরছে অন্ধকার,
মফঃস্বলের রাত্রি ভীষণই আঁঠালো l
শহরের রাত আলো ঝলমলে হাতছানি
ভাগ্যিস, কেউ তোমাকে সে ডাক পাঠালো l

দুজনেই যেন যে যার মধ্যে খুঁজছে সুখ l
আলো আঁধারিতে অশরীরী এক যৌনতা l
আদিম হচ্ছে ক্রমশ সুপ্ত প্রশ্ন সব,
ভাগ্যিস, তুমি বেছে নিয়েছিলে মৌনতা l

অমানিশা চিড়ে সিগন্যাল গুলো অপেক্ষায় l
দূরপাল্লার আশায় জাগছে ক্লান্ত চোখ
ভাগ্যিস, তুমি আগের ট্রেন টা পেয়েছিলে
একা প্লাটফর্ম, নিঃসঙ্গতা মারাত্মক l

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।