সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব – ২)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী রেবতী ঠোঁট
এতো সূর্যের কথা বললাম কিন্তু আমাদের শরীরের ভেতর নক্ষত্রের ভাঙা চৌকাঠ পাপ হাতে পাপেট শো- এর মঞ্চে। অদ্ভুত বিন্যাসের খেলা। স্তরে স্তরে জাল, জালের ফাঁকে রক্ত চন্দন। চন্দনে রক্ত মিশে নেই, পানেও না৷ লাল প্রাকৃতিক নির্বাচন। প্রকৃতিতে আরও যা কিছু আছে সবই প্রায় একাকিত্বের বোঝাপড়া৷ এখানে অনুশীলন অর্থে পাতার জীবদ্দশা। মহাজাগতিক স্রোতশূন্য উপাচার৷ অথচ পাতা অর্থে ক্লোরোফিলের প্রাণই বুঝি।
আমরা কি বুঝি বা কি বুঝতে চাই কিংবা কি বোঝা উচিত সেই নিয়ে সবিস্তর সমস্যা। একে অপরের দিকে নর্তক রাখি, বিগ্রহ নামক সুপুরুষ গড়ন। কত লোকেই তো ব্যকরণ জানে না৷ সর্বনামের অর্থনৈতিক ভূমিকা লিখতে ভাব জমায় মুখোশবৃত্তির সাথে। তারাও জানে শব্দের ভেতর কে যায়। এদিকে আমি বলি একাকিত্বের জলাশয়। বলি শব্দের ভিতর ব্রহ্ম জাগিয়ে তুলতে, যার নাদে জলাশয়ে নেমে যাবে আদিম রাজহাঁস। আর মুখোমুখি বসে মানুষ নিজেদের হাত থেকে একটা জং ধরা সাইকেল গাছের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে৷ বোঝাপড়া থেকে বোঝা সরে বিলীন হবে জাগতিক অজ্ঞতায়৷
এভাবেই কি জীবন নক্ষত্র হয়ে উঠবে? নৌকা নৌকা আলো আলেয়ার ধার ঘেঁষে পাহারা দেবে আমাদের অসম্পৃক্ত ঠোঁট। এই তো আরও একটু তৃণাচ্ছন্ন উপমা। ঠোঁটের নিচ থেকে জোয়ারে মিশে যাচ্ছে সমূহ তিলের বড়াই৷ আমাদের অহমিকায় থাকার মধ্যে তখনও পুরনো কলশি। ভুল শুধরে নেবার সুরে কেউ কেউ বলে ওঠে সূর্যের আসলে দক্ষিণমুখি হওয়া উচিত। ভুল নাকি উচিত এসবে বেশ জটিলতা তৈরি হয়৷ ব্যাপারটা হল মানুষ জটিল। যা দেখায় তা শুধু দেখানোর জন্যই দেখায়। তার হেরে যাওয়া তার লুকিয়ে রাখা রিক্ত ঠোঁট, বিভাজনের আসক্তিতে ডুবে থাকা স্তন, ভারী হয়ে আসে৷ কখন যে বাকি মন্দিরও জবা ফুলে ঢেকে যাবার নাম করে মনের ভেতর দ্বৈত চাষ করে তা ধ্বংসই জানে। সেই ধ্বংস যার গর্ভে চুম্বকীয় আলোড়নে ফুটছে সূর্যমুখী৷