• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় নার্গিস পারভিন

রঙিন চিঠির চরকি

বছর ঘুরে গেল বাদল কাজ হারা। পাঁচ বছরের বকুল, আর স্ত্রী সোনালীকে নিয়ে তার সংসার লকডাউনে কোনরকমে চলছে; না চলার মত। তার মালিককেও সে দোষ দিতে পারে না। বাধ্য হয়ে ভদ্রলোক তার একমাত্র কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে, তাতেও তার দিন চলেনা। বাদলই একবার তাকে সুইসাইডের হাত থেকে বাঁচায়!
বিষন্ন বাদল হঠাৎ সাইকেল-বেলের আওয়াজে বাইরে বেরিয়ে দেখে, তার মালিক মুখশ আঁটা লালুদা। হাতে হালখাতার চিঠি। বললো,
– নতুনখাতা করব রে বাদল, কাল থেকে তুই কাজে আসিস। দোকানটা গোছাতে হবে, চিঠি বিলোতে হতে হবে। পরশু মাল আসবে, ফোন করেছিল হোলসেল মালিক। বলেছে, চাকা ঘুরতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে।
রঙিন চিঠিটা নিয়ে সোনালী দু টুকরো করে, উঠোনে পড়ে থাকা কঞ্চি সহযোগে একটা সুন্দর চরকি বানিয়ে বকুলকে দিল। মেয়েটা একটু ভুলে থাক অন্তত। খেলনা পেয়ে বকুল খুব খুশি, কিন্তু হাওয়ার অভাবে সেটা ঘুরছেনা! বকুল চরকিটা ঘরের দক্ষিণের জানালায় আটকে দিল, হাওয়ার প্রত্যাশায়। পরের দিন বাদল কাজে বেরোতে যাবে, সেইসময় বকুলের উল্লসিত চিৎকার, বাবা-আ চরকি ঘুরছে!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *