|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত
by
·
Published
· Updated
শিরদাঁড়া
সবাই কে লাইন করে ঘরটাতে দাঁড় করানো হল। দেওয়ালে নানান রকম চাবুক। মানুষকে কষ্ট দেবার বিবিধ যন্ত্রের আয়োজন।হাবু অনেকদিন পর কাজ পেয়েছে। আজ মুরগী কিনে নিয়ে যাবে। লোকগুলোকে আচ্ছা করে পেদাতে হবে। যাতে ছটপট করে আর মেয়েদের মত কাঁদে। লোকগুলো দশাসই নয়। ভয় পেয়েছে সকলেই। মুতে ফেলবে শিগগিরি। হাবু হাতে টেনিস খেলার রিষ্টগার্ড পরে নিয়েছে। ওর পছন্দ পাতলা হিলহিলে চাবুক। খুব ধারাল। হেড-অফিসারের সাথে নেতা এলেন। অর্ডার হল এলোপাথাড়ি চাবুক চালানোর। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটপট করলেও কেউ আওয়াজ করল না। “বলে দাও লিডার কে? তাহলে আর কাউকে মারা হবে না।”কেউ কোন উত্তর দিল না। কেবল পিঠে তাজা ক্ষত নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে বলল, “আমি, … অন্যদের ছেড়ে দিন।” বাকীরা কেঁদে ফেলল।
নেতা আর অফিসার অর্ডার দিয়ে চলে গেল-“ ভারী হাতুরি দিয়ে এর শিরদাঁড়া ভেঙ্গে দাও।” হাবু খুব ফাঁকিবাজ। শিরদাঁড়াটা ভাঙেনি।তার নিজের শিরদাঁড়াটা নেই। ছেলের লাগবে। তাই লোকটার সাথে গল্প করে জেনে নিল শিরদাঁড়া কেমন করে তৈরি করা যায়।