কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে নিতাই চন্দ্র দাস

অপ্রিয়ের চলন বাঁকা

স্বামী তার স্ত্রীকে অপছন্দ করে
কথায় কথায় তার দোষ ধরে।
পিটায় তারে সামান্য অজুহাতে
কিছুতেই মন নাহি পায় তাতে।
যারে দেখতে নারে তার চলন বাঁকা
কোন কাজেই মনে আঁকে না রেখা।

স্ত্রী ভাবে কেমনে পাবে তার মন
এই চিন্তায় সময় কাটে সারাক্ষণ।
ঘরের ভিতরে ময়লা ঝুল দেখে
চোখের পলকে পরিষ্কারে রাখে।
চারিপাশের ঝোপঝাড় কাটে
উঠোন পিঁড়ে লেপে মুছে রাখে।
প্রতিদিন সকল কাজ কর্ম করি
প্রতীক্ষায় থাকে স্বামীর কথা স্মরি।

বেলা শেষে বাসায় আসিলে পরে
স্বামীর সেবা করে যত্ন সহকারে।
তবুও এটাসেটা ছুতানাতা খোঁজে
ত্রুটি ধরি বকুনি সকল কাজে।

মনে মনে চিন্তা করে নিরবে
আজি কখন সে বাসায় ফিরিবে।
কোন ত্রুটি রাখিবনা করিব যতন
পরিচর্যা করিব তারে মনের মতন।
দেখিব আজি মোর কোন দোষ ধরে
পথের দিকে চেয়ে থাকে অনাহারে।

স্বামীধন বাসায় ফিরে বসিলে খেতে
থালা গ্লাস এনে পিঁড়ি দেয় পেতে।
রন্ধন ব্যঞ্জন,ভাত দেয় পাতে
যত্নে বাতাস দেয় তালপাখাতে।

স্বামী খেতে বসে তাকায় চারদিক
কোন কিছুতেই পায় না বেঠিক।
মনে মনে ভাবে সবই ঠিক বটে
কি রূপে করিবে প্রহার ফন্দি আঁটে।
হঠাৎ বাহিরে দেখে উঠোনের পরে
একটি কুকুর শুয়ে রয়েছে অদূরে।
সপা-সপ চড় মারে স্ত্রীর গালে
স্ত্রী বলে,কেন আজি চড় মারিলে।
কোন কিছুই রাখি নাই বাকি
কোন কাজেই দেই নাই ফাঁকি।
সব কিছু করেছি মনের মতন
নিজ হাতে আমি করিয়া যতন।

স্বামী বলে,তোর সবই ঠিক আছে
দেখিছ নাই বাহিরে কে ঘুমাচ্ছে।
উঠানে শুয়ে কুত্তা করিছে ঘ্যান ঘ্যান
তারে তুই বালিশ দেছ নাই ক্যান।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।