সে ও এক ছুটির দিন।
বৈঠকখানায় উপস্থিত রয়েছি আমরা তিনটি প্রাণী, এক ও অদ্বিতীয় মদনদা, নলিনী দাদু এবং দুই প্রবীণের মাঝে আমি শ্রীমান পেঁচো।
সপ্তাহের প্রারম্ভে দাদু বলে রেখেছিলেন ওইদিন সকাল সকাল আমরা একত্রিত হচ্ছি। দাদা আপত্তি করেননি। বৌদি একগ্লাস করে ঘোলের সরবত হাতে ধরিয়ে দিয়ে আপ্যায়ন করলেন।
এই ধরণের আড্ডাগুলোতে সাধারণত দাদু সলতে পাকানোর কাজটি যত্ন সহকারে করে থাকেন। আমি কুপিতে তেল ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালাতে সহায়তা করি মাত্র। মদনদা দাও দাও করে জ্বলে উঠে আসর মাতিয়ে তোলেন।
তো সেদিন দাদু বেমক্কা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বসলেন। যা শোনার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। দাদাও আশা করেননি বন্ধু তাঁকে এইভাবে বিপদে ফেলতে পারে। তিনি অনুযোগের সুরে মিহি করে বললেন, নলিনী মিছে কথা বলো না। ধর্মে সইবে না।
– আমি মোটেই মিছে কথা বলছি না। কাজটা তুমি ইচ্ছে করেই করেছিলে ভায়া। জোর দিয়ে বললেন দাদু।
বৌদি পাশের ঘরে ছিলেন। তিনি সেখান থেকে বললেন, দাদা আপনার বন্ধুর আর কী কী গুণ আছে বলবেন?
দাদু ফিঁৎ ফিঁৎ করে খানিকটা হেসে নিয়ে বললেন, বৌঠান আমাদের মদন হলো গিয়ে বহুগুণে গুণান্বিত পুরুষ। তাছাড়া ওই বয়সে….
– বয়সের দোষ দেবেন না দাদা, বলুন আপনার বন্ধুর চরিত্র দোষ। আক্ষেপ ঝরে পড়ল বৌদির কন্ঠ বেয়ে।
দাদা কিছু বলার জন্য ঠোট ফাঁক করেছিলেন। দাদু বাধা দিয়ে ফিসফিস করে বললেন, মদন চেপে যাও। নারী অবলা, ওদের সাথে তর্ক করতে নেই।
যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এত কথা, কেন জানি না আমার মনে হচ্ছিল দাদা এমন কাণ্ড করতে পারেন না। সে কথা প্রকাশ করতে দাদু বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, মদনকে তুমি কী ভাবো হে ছোকরা?
– না মানে, ওই ধরণের কাজ করতে গেলে বুকে দম থাকতে লাগে। দাদার অতটা সাহস নেই।
আমার কথা শুনে দাদা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলনে। অতিরিক্ত ভারে নুয়ে পড়া সরু ডাল থেকে ফলগুলো ঝেরে নিয়ে ছেড়ে দিলে যেমন ডালটা সাঁ করে মাথা তুলে দাঁড়ায়। দাদা তেমনি একটানে বাঁকা পিঠ সোজা করে বললেন, আমার সাহসের কতটুকু দেখেছিস ছোঁড়া? তুই কী জানিস আমি এই হাত দিয়ে আস্ত একটা….
– থাক মদন ওই গল্পটা আর একদিন শুনবো। আজ বলো সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল?
দাদা নড়েচড়ে বসলেন। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খুক খুক করে কেসে গলা পরিস্কার করে নিয়ে বলতে লাগলেন, আমি তখন বারো ক্লাসের ছাত্র। হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছি।
– ছি ছি! ওই বয়সে….। পাশের ঘর থেকে বৌদির ছুড়ে দেওয়া একরাশ ঘৃণা এ’ঘরে এসে আছড়ে পড়ল। দাদা তা গায়ে মাখলেন না। বলতেই থাকলেন, সেবার গরমের ছুটিতে বাড়ি এসে শুনলাম ছোট মামার বড় মেয়ের বিয়ে। বাবা বললেন আমাদের যাওয়া হবে না। তুই যা।
– গেলেন আপনি!
– কেন যাব না? তখনকার দিনের বিয়ে মানেই ছিল উচ্চমানের উৎসব। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী মিলে বিয়ে বাড়িতে লোক গিজগিজ করত। ছয়-সাত দিন ধরে চলত দেদার খাওয়াদাওয়া, হৈ-হুল্লোড়।
– এই অবসরে তোমার মতো বিচ্ছু ছেলেরা…..
– নলিনী তুমি কী আমাকে বাড়ি ছাড়া করতে চাও?
– মদন এটা কেমন কথা হলো? তুমি কী আমাকে শত্রু ভাবো?
– তা কেন হবে! আসলে আমি বলতে চাচ্ছি যে, তোমরা একসময় এখান থেকে চলে যাবে। আমাকে বাড়িতেই থাকতে হবে….
– তো! গোল গোল চোখ করে মদনদার দিকে তাকালেন দাদু।
– এই যে একথা সেকথা বলে গিন্নির হৃদয়ে ঝড় তুলে দিয়ে যাচ্ছো, সামলাবে কে বল দেখিনি?
– ও এই কথা! দাদু হো হো করে হেসে উঠলেন। আমার
ঠোট জোড়া তুমুল আন্দোলিত হয়ে একছটাক হাসি উগরে দিতে চাইল। অশোভন হবে বিবেচনা করে ঠোট চেপে ধরে ঢক করে গিলে ফেললাম।
বৌদি ঝড়ের বেগে ওঘর থেকে ছুটে এসে বললেন, তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো আমি তোমার সাথে ঝগড়া করি? অশান্তি করি?
অতঃপর দাদাকে কোন কথা বলার সূযোগ না দিয়ে তিনি দাদুকে লক্ষ্য করে বললেন, দাদাবাবু আপনাকে এর বিচার করতে হবে। এতবড় অপবাদ আমি কিছুতেই মেনে নেব না।
– ঠিকই তো! এইভাবে বলা তোমার ঠিক হয়নি মদন। আমাদের বৌঠান হল গিয়ে হাজারে এক। পাড়া-প্রতিবেশী কেন, সাড়া গাঁয়ে তার মতো শান্ত মহিলা দ্বিতীয়টি নেই। আর তাকেই তুমি কিনা….
– ওহে তুমি আমার বন্ধু না শত্রু? মদনদা পিটপিট করে তাকালেন দাদুর দিকে। আমরাও মনে হলো দাদু মদনদাকে বিপদে ফেলতে চাইছেন।
ওদিকে দাদুর সাপোর্ট পেয়ে বৌদি ততটাই একসাইটেড হয়ে পড়েছেন। গলগল করে তাঁর মুখ দিয়ে বাক্যবাণ নির্গত হচ্ছে। টানা পাঁচ-সাত মিনিট নাগারে দাদার মুণ্ডপাত করে শেষে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ঠাকুরপো তুমি তো অনেকদিন ধরে আসা-যাওয়া করছো। আমার মুখে খারাপ কথা শুনেছো কোনদিন?
‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করার জন্য আমার ঠোট দু’টো যেন তৈরী হয়েই ছিল। বৌদি প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া মাত্র তা বুলেটের মতো বেরিয়ে পড়ল। আর যায় কোথা! মদনদা খচ করে আমার কান চেপে ধরে মচ করে দিলেন এক মোচর। হঠাৎ আক্রমণে আমি তখন ভ্যাবাগঙ্গারাম। আর্তনাদ করতেও ভুলে গেছি। দাদা বলে চলেছেন, শ্লা বৌদির হয়ে ওকালতি করা হচ্ছে? দেব ঠাস করে একখানা….
– এই খবরদার ওর গায়ে হাত তুলবে না। বৌদি খপ করে দাদার হাত ধরে ফেললেন। তারপর বললেন, পেঁচো কী এখনো ছোট হয়ে আছে। ওর গায়ে হাত তুলতে যাচ্ছো তোমার লজ্জা করে না?
দাদা নিদারুণ অবাক হয়ে চোখ বড় করে বললেন, পেঁচো আবার বড় হলো কবে?
এবার বৌদির অবাক হবার পালা। দাদার হাত ছেড়ে দিয়ে বললেন, কী বলতে চাচ্ছো তুমি!
– যতই এমএ-বিএ পাশ দিক, যত বড়ো চাকুরি করুক না কেন, আমার চোখে সে ছোট্টটিই আছে। বাবা-মার চোখে খোকা চিরকাল খোকাই থাকে। একথা বলে দাদা আমার মাথার চুলে লাঙল চালিয়ে দিয়ে বললেন, ঠিক কিনা বল হে নলিনী।
– এই কথাটি তুমি খাঁটি বলেছ মদন। মা জীবনের শেষদিন পযর্ন্ত আমাকে খোকা বলে ডেকেছেন। আমি পঞ্চাশের কোঠায়, মা তখন একেবারে শয্যাশায়ী। ‘আমার খোকা’ বলে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। বৌঠান তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না কী শান্তিই না পেতাম।
নলিনী দাদু নস্টালজিক হয়ে পেড়েছেন। তাঁর চোখের কোণা চিকচিক করছে। মদনদা বাকরহিত। বাবার মুখ আমার মনে পড়ে না, মৃত মায়ের মুখখানা চোখের সামনে ভেসে উঠল। নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, হুস হুস করে কেঁদে ফেললাম। বৌদি চট করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।
কতক্ষণ আমরা মৌন হয়ে বসেছিলাম বলতে পারব না। বৌদি ঘরে ঢুকলে চেতনা ফিরে পেলাম। তাঁর হাতের ট্রে-তে ধুমায়িত চায়ের পেয়ালা, তিন পিস গরম সিঙ্গারা। ট্রে টেবিলের উপর রেখে দিয়ে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। ততক্ষণে দাদু অনেকটা সামলে উঠেছেন। একটা সিঙ্গারা তুলে নিয়ে বললেন, তারপর কী হলো বল মদন?
দাদা যেন কিছুই শুনতে পাননি। কপকপ করে সিঙ্গারায় কামড় দিয়ে চলেছেন। মাঝে মাঝে পেয়ালায় চুমুক দিচ্ছেন। আমার তর সইল না। বললাম, জেঠু আপনাকে বিয়েবাড়ি যেতে বললেন। তারপর?
তিনি ঘাড় কাত করে আমার দিকে তাকিয়ে সিঙ্গারার শেষ টুকরোটা মুখে নিয়ে বললেন, তুই এত নোলা কেন বল দেখিনি? গিন্নি এত যত্ন করে খাবার দিয়ে গেল, শান্তিতে খেতেও দিবি না?
– আমি বলায় দোষ হয়েছে। দাদু বললেন তখন তো কিছু বললেন না। সব শালাই গরীবের ঘাড় মটকাতে ওস্তাদ। মন চাইছিল কথা ক’টা শুনিয়ে দিই। পাছে রাগ করে উঠে চলে যান এই ভয়ে আর বলা হয়ে উঠল না। রাগ-দুঃখ-অভিমান হজম করে চা পানে যত্নবান হলাম।
মদনদা চা-সিঙ্গারা শেষ করে ঢকঢক করে খানিকা জল পান করে গুছিয়ে বসে শুরু করলেন, নির্দিষ্ট দিনে সেজেগুজে সাইকেলে চেপে মামা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ঘন্টা খানেকের পথ, দুপুরের আগেই পৌঁছে গেলুম।
বাব্বা! হৈ হৈ কাণ্ড! পুকুরের মাছ ধরা হয়েছে এককাঁড়ি, রুই-কাতলা-মৃগেল-চিতল। এক একটার ওজন চার-পাঁচ কেজির কম নয়। একদিকে মাংস-ভাত রান্না হচ্ছে বড় বড় কড়াইয়ে। আর একদিকে ময়রার দল ছানা কেটে মিস্টির লেচি করছে। এসেছে হরেক কিসিমের ফলমূল। আয়োজন দেখে মনে মনে ভাবছি এতসব খাবে কে?
– কে খেলো জেনে আমাদের কাজ নেই। তুমি শুধু বল কেন ওর পিছন পিছন বাগানে গিয়েছিলে?
দাদুর জিজ্ঞাসার উত্তরে মদনদা হা হা করে উঠলেন, না না! আমি কেন ওর পিছনে যাব?
– তাহলে সে তোমার পিছু নিয়েছিল! আগে থেকে তোমাদের কথা করা ছিল তাই না? বলেই দাদু ফিক করে হেসে দিলেন।
ঘটনাক্রম কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে অনুধাবন করে আমার কান গরম হয়ে উঠল। দেখতে না পেলেও বুঝতে পারছিলাম চোখমুখের অবস্থা খুব স্বাভাবিক নেই।
বৌদি তখন রান্নাঘরে। সেখান থেকে ছ্যাক ছ্যাক আওয়াজ ভেসে আসছে। ভাবলাম তিনি কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। মুহূর্তের ব্যবধানে আমাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে তিনি টিপ্পনী ছুড়ে দিলেন, বুড়োর কপালে আজ ঢের দুঃখ আছে।
দাদা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললেন, তোমরা যা ভাবছ আসল ঘটনা কিন্তু তা নয়। সেদিনের সেই অপ্রীতিকর ঘটনা কো-ইনসিডেন্ট ছাড়া কিছুই না।
– সে তো এখন বলবেই। চোর কোনদিন বলে চুরি করেছি? বদমায়েশ, বাঁটকুল, টেকো বুড়ো। বৌদি ঝড়ের গতিতে বেশকিছু বিশেষণ দাদার নামের সাথে জুড়ে দিলেন।
দাদাও ইচ্ছা করলে পাঁচ কথা শুনিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু অবলা নারীর সাথে বাকদ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হওয়া, পৌরুষত্বের অবমাননা ব্যতীত নয় বিবেচনাপূর্বক সে পথ মাড়ালেন না। বরং তোষামোদ করে বললেন, আগে সবটা শোন। তারপর যদি তোমার মনে হয় আমি অপরাধী, যে শাস্তি দেবে মাথা পেতে নোব।
– পরের কেচ্ছা শুনতে আমার বয়েই গেছে। বৌদি পিছন ঘুরে তপ্ত কড়াইয়ে জোরে জোরে খুন্তির খোঁচা দিতে থাকলেন।
দাদু তাড়িয়ে তাড়িয়ে বুড়ো-বুড়ির ঝগড়া উপভোগ করছিলেন। মিচিক মিচিক হাসতে হাসতে বললেন, তারপর সে তোমার কাছে গেল। আর তুমি তাকে….
– মোটেই না। দাদুকে থামিয়ে দিয়ে মদনদা বলতে থাকলেন, রাত একটা নাগাদ বিয়ের কাজ শেষ হলে যে যার মতো শুতে চলে গেল। আমিও শুয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু গরমে ঘুম আসছিল না। ঘন্টাখানেক বিছানায় পড়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে উঠে চলে এলাম বাগানে। একটি আমগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়ে বসে পড়লাম। ফুরফুর করে বাতাস দিচ্ছিল, বেশ আরাম বোধ করছিলাম।
– তারপর! তাগাদা দিলেন দাদু।
– হঠাৎ একটা ছায়ামূর্তিকে বাড়ি থেকে বার হতে দেখলাম। ছায়ামূর্তিটা পাঁচিল বরাবর বাড়ির পিছন দিকে যাচ্ছে। ব্যাটা নিশ্চয় চুরি করে পালাচ্ছে। ওকে আটকাতে হবে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। চোখের পলকে ছুটে গিয়ে চোরকে পিছন থেকে জাপ্টে ধরে চিৎকার জুড়ে দিলাম, চোর চোর চোর।
– আপনার সাহস আছে বটে! বললাম আমি। কিন্তু দাদা কোন গুরুত্ব দিলেন না। বলতেই থাকলেন, ওদিকে চোরও সমান তালে চিৎকার করছে, বাঁচাও বাঁচাও।
হুলুস্থূলু পড়ে গেল বাড়িতে। রে রে করে দৌড়ে এসে আমাদের ঘিরে ধরলো সবাই। মামার হাতে টর্চ লাইট ছিল। তিনি চোরের মুখে টর্চের আলো ফেলতে আমার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি তাকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ালাম।
– সেকি! চোরকে ছেড়ে দিলেন?
– না ছেড়ে উপায় ছিলো নারে পেঁচো। সে তো আর সত্যিকারের চোর নয়।
– কে তবে!
– মামিমার ভাইঝি উমা। আসলে তখন তো বাড়ি বাড়ি টয়লেট-বাথরুম ছিল না। হয়তো….
– সোমত্ত মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছ বুঝতে পারনি? ন্যাকা! মুখ ঝামটা দিয়ে উঠলেন বৌদি।
মদনদা একগাল হেসে উত্তর দিলেন, সেই মানসিকতা থাকলে কী আর চিৎকার করতাম গিন্নি? বুকে জড়িয়ে ধরে….
দাদা হাত দু’টো পেঁচিয়ে নিজের বুক চেপে ধরে উস্ উস্ করে উঠলেন।
বৌদি লজ্জায় রাঙা হয়ে রান্নাঘরের দরজা বন্ধ করতে করতে বললেন, ধ্যাৎ! তুমি না একটা….