|| বিপ্লবী চিন্তাবিদ জাঁ জাক রুশো || লিখেছেন মৃদুল শ্রীমানী

বিপ্লবী চিন্তাবিদ জাঁ জাক রুশো
ফরাসি বিপ্লব মানুষকে মুক্তি অর্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ১৭৮৯ সালের ০৫ মে তারিখে সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতার বাণী রূপায়ণে ফরাসি বিপ্লব গড়ে ওঠে। আর এক দশক যেতে না যেতেই ১৭৯৯ সালের নভেম্বরের ০৯ তারিখে ধ্বংস হয়ে যায়। তবুও ফরাসি বিপ্লব আজো দেশে দেশে মুক্তি কামী মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে।
এই ফরাসি বিপ্লব যাঁদের চিন্তাকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছিল, তাঁদের একজন হলেন দার্শনিক রুশো।
এখনকার সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় জন্মেছিলেন জাঁ জাক রুশো ( ২৮ জুন ১৭১২ – ০২ জুলাই ১৭৭৮)। রাজনৈতিক দর্শন বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি গোটা ইউরোপের আলোকমুখীনতাকে উদ্দীপ্ত করেছিল। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা, অর্থনীতি এবং শিক্ষাতত্ত্ব নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা মানবসমাজকে সমৃদ্ধ করেছে। ১৭৫০ সালে রুশো’র দিসকুর অন দি আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস প্রকাশিত হয়। ১৭৫২ তে নার্সিসাস, অর দি সেলফ অ্যাডমায়ারার: এ কমেডি; ১৭৫৪ সালে দিসকুর অন দি অরিজিন অ্যান্ড বেসিস অফ ইনইকুয়ালিটি অ্যামঙ মেন; ১৭৫৫ তে দিসকুর অন পলিটিক্যাল ইকনমি, ১৭৫৮ তে জুলি অর দি নিউ হেলোয়েজ প্রকাশিত হয়েছিল। ব্যক্তি মানুষের সঙ্গে সমাজের সম্পর্কবিন্যাস কী রকম হবে, সেই নিয়ে রুশো লিখেছেন এমিল অর অন এডুকেশন। এটা আসলে পাঁচটি ধারাবাহিক বইয়ের একটা সমাহার। এমিল একটি শিশু। তাকে কিভাবে বড় করে তোলা হবে সেই নিয়ে এই গ্রন্থ প্রচেষ্টার শুরু। গ্রন্থ পঞ্চকের প্রথম তিনটিতে তিনি শিশু এমিলকে নিয়ে লিখে গিয়েছেন। চতুর্থ গ্রন্থে এমিলের কৈশোর নিয়ে ভাবনা পল্লবিত হয়েছে। আর পঞ্চমটিতে এমিলের সখী সোফির কি রকম পড়াশুনা হবে, তা নিয়ে কলম চালিয়েছেন রুশো। রুশোর এই বইটি পরে খুব মান্যতা পেয়েছিল। ফরাসি বিপ্লবের পর শিক্ষা বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কী রকম হবে, সেটা স্থির করতে বিপ্লবী নেতারা এই এমিল গ্রন্থের উপরে ভরসা করেছেন। কিন্তু ১৭৬২ সালে পরিস্থিতি অত অনুকূল ছিল না। এমনকি ওই ১৭৬২ তে বইটি প্রকাশিত হলে পারীর রাস্তায় ক্রুদ্ধ জনতা ওই বই প্রকাশ্যে দগ্ধ করেছিল।
১৭৬২ সালে কাঞ্চন কৌলীন্যের পরিস্থিতির মধ্যেও কীভাবে একটা রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিসম্পন্ন সম্প্রদায়কে গড়ে তোলা যাবে, তার সব সেরা উপায়টা কী হতে পারে, সেই নিয়ে রুশো বই লিখলেন দি সোশ্যাল কনট্র্যাকট বা দি প্রিনসিপলস অফ পলিটিক্যাল রাইট। ফরাসি ভাষায় বইটি তিনি লিখেছেন। সেই ভাষায় নামটি ছিল দ্যু কনত্রাৎ সোশিয়াল। আজ রুশোকে চিনতে সোশ্যাল কনট্র্যাকট বইটি বড়ই জরুরি। কিন্তু গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে জেনিভায় তা প্রকাশ্যে পোড়ানো হয়েছিল। সোশ্যাল কনট্র্যাকট পারীতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রুশোর প্রতি অনেক দিন ধরে বিদ্বিষ্ট ছিলেন ভলতেয়ার। রুশোর লেখালেখির বিরূপ সমালোচনা করার কোনো সুযোগই তিনি ছাড়তেন না। কিন্তু বাস্তবে বড় মনের মানুষ হবার জন্যই এবং মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থক ছিলেন বলেই ভলতেয়ার যখন শুনলেন, সোশ্যাল কনট্র্যাকট জেনিভায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হয়েছে, তখন তিনি সেই দুষ্কর্মের প্রতিবাদ করে বলেছিলেন যে, একজনের বই পোড়ানোর মানে হল যে, তাঁর যুক্তির সমুচিত জবাব দেবার সামর্থ্য ও যোগ্যতাটা আমাদের নেই। ১৭৬৫ সালে আইদিস রিপাবলিকেইনস নামে নামস্বাক্ষরবিহীন একটি রাজনৈতিক প্রচারপত্রে ভলতেয়ার এ কথা লিখেছিলেন।
রুশো আত্মজীবনী লিখেছিলেন। দি কনফেশনস। তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়েছিল সেই বই। নিজের জীবনের তিপ্পান্ন বৎসর অবধি সময়রেখার ইতিকথা লিখেছিলেন সেখানে। জীবিতাবস্থায় বইটি প্রকাশ করে না উঠতে পারলেও রুশো সাধারণ মানুষের মধ্যে বহুবার বইটির অংশবিশেষ পড়ে শোনাতেন। নিজের জীবনকে অসংকোচে, যা সত্য বলে মনে করেছেন, সেভাবেই তুলে ধরেছেন রুশো। এমনকি সাধারণ মানুষ লজ্জার খাতিরে নিজের যেসব কাজ লুকিয়ে রাখা পছন্দ করে, তাও উন্মুক্ত করেছেন রুশো। বালককালে কিভাবে একটি বালিকার উপরে চুরির দায় মিথ্যে মিথ্যে চাপিয়ে দিয়ে তাকে অন্যায় শাস্তি ভোগ করিয়েছেন, সে বৃত্তান্ত তিনি আড়াল করেন নি। আরো আড়াল করেননি কিভাবে আর্থিক কষ্টে পড়ে হোটেলে দাসীবৃত্তি করতে থাকা একটি ভদ্র পরিবারের মেয়েকে তিনি নিজের রক্ষিতা করে রেখে, কোনো সামাজিক সম্মান না দিয়ে, সম্পর্ক ধামাচাপা রেখে দিনের পর দিন তাঁর দেহভোগ করে গিয়েছেন। এমনকি পাঁচ পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়ে একের পর এক তাদের অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া নিজের সদ্যোতারুণ্যের বহুবিধ যৌন অভিজ্ঞান তিনি মন খুলে লিখতে দ্বিধাবোধ করেন নি।
রুশোর কনফেশনস আসলে দুটো আলাদা আলাদা বই। এই দুটি বইয়ের প্রতিটি র ছয়টি করে খণ্ড রয়েছে। প্রথম ছয়টি খণ্ড রুশো লিখেছেন ১৭৬৫ থেকে ১৭৬৭ সাল অবধি সময়কালে। আর সপ্তম থেকে দ্বাদশ খণ্ড অবধি লিখেছেন ১৭৬৯ সালে। তৃতীয় একটা গ্রন্থের কথা মাথায় ছিল তাঁর। সে আর হয়ে ওঠেনি।
১৭৬২ থেকে ১৭৬৫, এই সময়টাতে রুশো এখনকার সুইজারল্যান্ডের নিউ চ্যাটেল ক্যানটনের ভ্যাল ডে ট্রেভারস জেলার মোটিয়েরস পৌর এলাকায় থাকতেন। এই সময়ে রুশো একজন বিদগ্ধ মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। সেলিব্রিটি বলাই ঠিক। লেখাপড়ায় ডুবে থেকেই তাঁর সময় কাটত। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা তাঁর লেখায় ঈশ্বরানুগত্যের যথেষ্ট অভাব লক্ষ করে স্থির করলেন যে তাঁকে ওঁদের পৌর এলাকার চৌহদ্দিতে আর থাকতে দেওয়া যাবে না। নিউ চ্যাটেল ক্যানটনের কনসিসটরি বা ধর্মীয় আদালত ঈশ্বর অবমাননার দায়ে তাঁকে সমন পাঠাল। সমনের সূত্রে রুশো লিখে পাঠালেন যে তাঁর শরীরটা খারাপ। তাঁর পক্ষে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকাটা সম্ভব নয়। তাঁকে কনসিসটরি-তে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
এর মধ্যে স্থানীয় যে চার্চের সঙ্গে রুশোর কিছুটা হলেও সম্পর্ক ছিল, তার প্যাসটর অর্থাৎ পুরোহিতও তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগলেন। শুধু তাই নয়, রুশোকে খ্রীস্টবিরোধী বলে প্রকাশ্যে নিন্দাবাদ করতে শুরু করলেন। এমনকি লোককে খেপিয়ে দেন রুশোর বিরুদ্ধে। রুশো রাস্তায় বেরোলে লোকেরা তাঁকে ঢিল ছুঁড়ত। ১৭৬৫ সালের ৬ – ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যরাত্রে যখন রুশো নিজের বাড়ির ভিতরে রয়েছেন, সেই সময় কিছু লোক এসে সেই বাড়িতে পাথর ছুঁড়তে থাকে। জানালার কাচ ভেঙে দেয়। তখন শুভানুধ্যায়ীরা রুশোকে মোটিয়েরস ছেড়ে চলে যেতে পরামর্শ দেন। রুশো চলে গেলেন সুইজারল্যান্ডের বিয়েল হ্রদের ছোট্ট একটি দ্বীপে। পাঁচ কিলোমিটার লম্বা আর এক কিলোমিটারেরও বেশ খানিকটা কম চওড়া একটা দ্বীপ সেন্ট পিটার’স। সেপ্টেম্বরের দশ তারিখে সেখানে আশ্রয় নিলেন রুশো। কিন্তু সেন্ট পিটার’স দ্বীপটি ছিল বার্ন ক্যানটনের প্রশাসনিক আওতায়। ওই বার্ন থেকে আগেও একবার রুশোকে তাড়ানো হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যেই বার্নের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সিনেট এক পক্ষকালের মধ্যে বার্ন এর প্রশাসনিক ভৌগোলিক সীমানা ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেন। রুশো প্রার্থনা করেছিলেন যাতে ওই বার্নের যে কোনো একটি কোণে তাঁকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি শুধু নিজের বইপত্র আর অল্প কিছু জামাকাপড় সম্বল করে টিঁকে থাকতে চান। আর মাঝে মাঝে তাঁকে যেন বাগানে পায়চারি করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফল হল উলটো। কর্তৃপক্ষ রুশোর মিনতি তো গ্রাহ্য করলেনই না, বরং ফতোয়া জারি করা হল যে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে রুশোকে দূর হয়ে যেতে হবে। অকটোবরের ২৯ তারিখে রুশো উত্তর পূর্ব ফ্রান্সের জার্মান সীমান্ত ঘেঁষা শহর স্ট্রাসবুর্গে চলে যান।
রুশো ছিলেন সেলিব্রিটি। ইউরোপের বিভিন্ন অংশের রাজা, রাজপুরুষ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিলেন। প্রাশিয়া রাজা ফ্রেডরিক দ্য গ্রেট রুশোকে তাঁর গ্রীষ্মাবাস পটসড্যামে এসে বসবাস করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কর্সিকা থেকে দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রবিদ সেনানায়ক প্যাসকোয়েল পাওলি তাঁকে আবাহন জানিয়েছিলেন।
ফরাসি কবি দার্শনিক সমর বিশারদ জাঁ ফ্রানকয়েস দে সেন্ট ল্যামবার্ট তাঁকে লোরেন এ পেতে চেয়েছিলেন। রুশোর প্রকাশক মার্ক মিশেল রে তাঁকে আমস্টারডামে এসে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আর স্কট দার্শনিক ইতিহাসবিদ প্রাবন্ধিক, “এ ট্রিটিজ অন হিউম্যান নেচার” গ্রন্থের রচয়িতা ডেভিড হিউম রুশোকে ইংল্যান্ডে এসে থাকতে বললেন। রুশো হিউমের আমন্ত্রণ স্বীকার করে ইংল্যান্ডে চলে আসেন। পরে কিন্তু হিউমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। তা এতটাই তিক্ত হয়ে ওঠে যে প্রকাশ্যে চলে আসে।
১৭৬৭ সালের ২২ মে তারিখে রুশো ফ্রান্সে চলে আসেন। যদিও সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল, তিনি সেখানে নাম ভাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা চালাতে থাকেন। এইসময়ে তিনি প্রচণ্ড মানসিক চাপ সহ্য করতে করতে উদ্বেগজনিত সন্দেহবাতিকের শিকার হয়ে পড়েন। বিষয়টি প্যারানইয়ার পর্যায়ে চলে যায়। সর্বদা রুশোর মনে হত কেউ না কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই সময় ২৯ জুন ১৭৬৮ সালে জেনিভার বিখ্যাত থিয়েটারটি অগ্নি দুর্ঘটনায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ভলতেয়ারের সঙ্গে রুশোর সম্পর্ক ভাল ছিল না। ভলতেয়ার রটিয়ে দিলেন জেনিভার থিয়েটারে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে রুশোর হাত আছে। তিনিই কলকাঠি নেড়ে অমন কীর্তিকলাপ করিয়েছেন। কয়েক মাস পর ৩০ আগস্ট ১৭৬৮তে রুশো তাঁর দীর্ঘদিনের শুভার্থিনী ও সহভাগিনী থেরেসাকে বধূ হিসেবে গ্রহণ করেন। তখন রুশোর বয়স ছাপ্পান্ন বৎসর। এই সময়েও তিনি কনফেশন নামে আত্মজীবনী লিখে চলেছেন। সে লেখা শেষ হল ১৭৬৯ এর জানুয়ারিতে। ওই বছরেই ০২ জুলাই তারিখে রুশোর সকল যন্ত্রণার অবসান হল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
রুশোর লেখায় বিপ্লবের বার্তা থাকত। তাঁর একটি বিখ্যাত কথা হল মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মায়, কিন্তু প্রত্যেকটি পদে পদে তার হাতে পায়ে শিকল বাঁধা। বলতেন, আমি বরং বিপদকে মাথায় নিয়ে স্বাধীনতা উদযাপনের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকব। কিন্তু দাসত্ব মেনে নিয়ে শান্তির বাতাবরণ আমি চাই না। বলতেন জীবনের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জীবন বিপন্ন করার অধিকার যে কোনো মানুষের রয়েছে। রহস্য করে বলতেন, সত্যের চর্চা করে কেউ কখনো বড়লোক হতে পারেনি। বলতেন, না, তোমার মগজ নয়, বুকের উপর হাত রেখে কথা বলো। তোমার হৃদয় কী বলছে, সেই কথা কান পেতে শোনো। বলতেন, আমি ঈশ্বরকে সর্বত্র, তাঁর সর্বপ্রকার সৃষ্টির মধ্যে দেখতে পাই। আমি নিজের বুকের মধ্যে তাঁর চরণধ্বনি শুনি। তিনি বহুরূপে আমার চতুর্দিকে বিরাজমান। তাঁর এই কথাটা ধর্মধ্বজীরা ভাল মনে নেয়নি। তাঁর এ কথাটাকে ঈশ্বরানুগত্যের অভাব ঠাউরে নিয়ে দেশছাড়া করেছিল।
রুশোকে অপছন্দ করতেন এমন লোকের সংখ্যা চিরকালই ছিল প্রচুর। মৃত্যুতেও তাঁরা রুশোর নিন্দা পরিবাদ করতে ছাড়েননি। তাঁরা মিথ্যে করে রটিয়ে দিয়েছিলেন যে মানসিকভাবে অসুস্থ অবস্থায় রুশো আত্মহত্যা করেছেন। এমনকি রুশো নাকি শেষ সময়ে বিকৃত মস্তিষ্ক হয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ সময়ে যাঁরা রুশোকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, রুশো সহজ স্বাভাবিক অবস্থায় মারা যান। রুশো বিস্তর মানুষের চক্রান্ত নিন্দা ও শত্রুতার শিকার হলেও মনুষ্যত্বের প্রতি বিশ্বাস হারাননি। মানুষেরা কেমন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, মেন আর উইকেড, ইয়েস, বাট ম্যান ইজ গুড।