মানব সভ্যতা আজ ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, মানুষ! এখন একটু তো মানবিক হও। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ হাহাকার করছে। একটা শ্রেণী মানুষকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে দিচ্ছে, আর এক শ্রেণী জীবনদায়ী পথ্য নিয়ে কালোবাজারি করছে। এই মারণ রোগ জাতি-ধর্ম-বর্ণ ধনী-দরিদ্র কারো মধ্যে ভেদাভেদ করবে না। কভিডে আক্রান্ত রোগীরা অচ্ছুৎ কিংবা সমাজবিরোধী নয় ওরা কোন পাপ কাজও করেনি।তাদের প্রতি আমারা কী আর একটু মানবিক হতেপারিনা।সংক্রমণ রুখতে দূরত্ব হোক শারীরিক-মানসিক নয়। যেই সমাজের ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমায় বাস করে সেখানে পুরোপুরি লকডাউন করে সংক্রমণ কিছুটা আটকান গেলও অনাহারে মৃত্যুকে আটকানো যাবেনা।তারচেয়ে বরং নিয়ম বিধি মেনে চলে, ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাড়ানোর পরিবর্তে নিজের উপার্জনের কিছুটা অংশ সর্বসাধারণের মধ্যে ভাগ করে নিলে হয়তো আমরা সবাই একটু একটু করে ভালো থাকতে পারবো।মানুষকে আতঙ্কিত না করে সতর্ক করাটাই এখন আমাদের লক্ষ্য । আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী ওষুধ অক্সিজেন অযথাই নিজের বাড়িতে মজুদ করে রাখলে হয়তো সেটা আপনার কাজেই আসবে না অথচ সত্যিই যার এটা প্রয়োজন সে হয়তো সেটা পাবেইনা বা এর সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি বেড়ে যাবে। এটাই হয়তো সময়ের দাবি শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে নিজেকে ভালো রাখলে আর ভালো থাকা যাবেনা। যখন প্রতিটা মানুষ ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে জানবেন আপনিও ভাল আছেন ভাল থাকবেন।চলুননা,না হয় নিজেকে ভালো রাখতেই আর দশটা মানুষকে ভাল রাখি। ভেবে দেখুন তো এই বড় বড় কাঠের দরজা জানালা আসবাবপত্র আজ কিন্তু আপনাকে অক্সিজেন দেবে না। আজকে যদি গাছগুলো থাকতো হয়তো অক্সিজেনের ঘাটতি কিছুটা পূরণ হতো। মেয়েকে বিয়েতে যৌতুকে কাঠের আসবাব না দিয়ে বরং কয়েকটা গাছ লাগিয়ে দিলে আগামী প্রজন্ম প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবে। অনেক অবিচার অনাচার আমরা করে ফেলেছি নিজের প্রতি, মানুষ, প্রাণিকুল, প্রকৃতি এই পৃথিবীর প্রতি। সেই ভুলেরই মাশুল গুনছে এখন মানবজাতি। কিছু পরিবর্তন কিছু সংশোধন আত্মসমালোচনা, মনুষ্যত্বের বিকাশ হয়তোবা ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মানবসভ্যতাকে আরেকটা সুযোগ দিতে পারে।