সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মৃদুল শ্রীমানী (পর্ব – ১৭)

নৈতিক দায়দায়িত্বের মাপকাঠিতে যদি এই মামলার রায় দিতে হয়, তাহলে ধর্মাবতার, আমাদের প্রাণদণ্ড দেওয়া সংগত হবে না। কেননা, নৈতিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে আদালতের বিবেচনা ঠিক কি রকম, তা আমি একটু আগেই বলেছি। আজ সকাল থেকে এই কোর্টের চিন্তনপ্রণালী ও বিচারধারা যে পথে চলছে, তাকে যদি শুদ্ধ ও সঠিক বিধান বলে মান‍্যতা দেওয়া হয়, তাহলে তেমন বিধানের নিরিখে এদেশের যে কোনো মানুষকে আইনসংগত ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। আমি জোর দিয়ে বলছি, শুনে রাখুন ধর্মাবতার, যে আইন নিয়ে পড়াশুনা করে আপনারা ন‍্যায়াধীশ হয়েছেন, তার ভিত্তিতে এই আদালত কক্ষে যে কোনো মানুষকে সুবিচার, নিরপেক্ষতা আর আইনি পদ্ধতির নাম জপতে জপতেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। ফাউচ, নেপোলিয়নের খাস ভৃত্য, একদা তার মালিককে বলেছিল, আমাকে যে কোনো একটা লোকের, যে কখনো দু এক কলম লিখেছে, তার এক পংক্তি রচনা এনে দিন, আর দেখুন কেমন আইনি মারপ‍্যাঁচে ঠেসে পিষে তাকে আমি ফাঁসির মঞ্চে ঠেলে দিতে পারি। আজ এই আদালত নেপোলিয়নের ওই ভৃত্যের দর্শন অনুযায়ী কাজ করছে। ওইটিই যদি আইন হয়, তাহলে এদেশের যে কোনো লোককেই ষড়যন্ত্রের দায়ে ফাঁসানো যায়, এমনকি খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত পর্যন্ত করা যায়। যে কোনো ট্রেড ইউনিয়নের যে কোনো সদস‍্যকে, সে নাইটস অফ লেবার হোক, বা আর কোনো শ্রমিক সংগঠন হোক, যে কাউকেই ষড়যন্ত্র করার দায়ে কয়েদ করা চলে এবং কোথাও কোনো দাঙ্গা হাঙ্গামা হলে তার সাথে আদৌ কোনোভাবে জড়িত না থাকলেও, এই যেমনটা আমাদের উপর করছেন আর কি, তেমনভাবে খুনের দায়ে শাস্তি দেওয়া চলে।

এইরকম যদি একটা নজির তৈরি হয়ে যায়, এবং সেটা মান‍্যতা পেয়ে যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করলেও তাকে আপনারা রাষ্ট্রদ্রোহের তকমা লাগিয়ে দিতে পারেন। এইভাবে আপনারা জনজীবনের সমস্ত নিরাপত্তাকে তুচ্ছ ও অর্থহীন করে দিয়ে ব‍্যক্তিস্বাধীনতার ন‍্যূনতম রক্ষাকবচটুকু কেড়ে নিচ্ছেন। আর আপনাদের এই ধরনের বিচারের ফলে যে রক্ত ঝরবে, তা নির্দোষ নিরপরাধ লোকের রক্ত, এবং তার প্রতিটি ফোঁটা আপনাদের কাছে কৈফিয়ত চাইবে।

গ্রিনেল বলেছিলেন, সাতজন পুলিশম‍্যান মারা গেছেন। এই বলে তিনি জুরিদের দিকে রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণভাবে চোখের ইশারায় বার্তা দিয়েছিলেন। আপনারা আসলে খুন কা বদলা খুন চাইছেন। আপনাদের সাতটা লোক মারা গেছে, তাই বিপক্ষের যে কোনো সাতটা লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আপনারা হিসাব বরাবর করছেন। দেখছেন না, বিপরীত পক্ষের লোকগুলো আদৌ দোষী কি না, আদৌ তারা অপরাধের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত কি না। এটা দেখার কোনো দায় পর্যন্ত আপনারা অনুভব করেন না। আপনারা চোখের বদলে চোখ, খুন কা বদলা খুন, এই ঝোঁকে পা মিলিয়েছেন। এই যে আপনাদের বিচারধারা, ঠিক এইভাবেই অনেক আদিম অসভ‍্য উপজাতীয় লোকেরা বিচার করে। তাদের যতটা ক্ষতি হয়, হিসেব করে তারা বিপক্ষের থেকে সমান ক্ষতি উশুল করে নেয়। ছিনুক এবং আরবরাও এ রকম করে। তাদের যে কয়টা লোক মরেছে, গুণে গেঁথে অপর পক্ষের সে কয়টা লোককে না মারতে পারলে তাদের আশ মেটে না। কাকে মারছে, কেন মারছে, যাকে মারছে, আদৌ সে দোষী কি না, এসব ভাবার ফুরসত তাদের নেই। শুধু সংখ‍্যাটাকে মিলিয়ে দিলেই তাদের বিচার সমাধা হয়। এই বিচারধারায় আস্থা রেখে যদি আমাদের‌ও ফাঁসিতে ঝোলানো হয়, তাহলে সেটাই না রেখে ঢেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন আর সারা দুনিয়া জানুক যে একটা সভ‍্য এবং খ্রিস্টান ধর্মপ্রভাবিত দেশে গুণ্ডা মস্তান আর ফেরেববাজ লোকেরা ব‍্যক্তিস্বাধীনতা, গণতন্ত্র আর ন‍্যায়বিচারকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। গ্রিনেল সাহেব তো বার বার বলছিলেন, আমাদের দেশটা নাকি জ্ঞানী গুণী মহদাশয় আর আলোকপ্রাপ্তদের দেশ। তো আপনাদের এই বিচার গ্রিনেলের ওই দাবির সঙ্গে খাপে খাপে মিলে যায়। আমাদের বিরুদ্ধে আপনাদের এই রায় ধনিকশ্রেণীর স্বার্থবাহী, এবং তাদেরই ইঙ্গিতে রচিত। আর এদেশের হাজার হাজার গরিব চাষি আর দিনমজুর আপনাদের এই রায়কে ধিক্কার দেবে। এইসব গরিব মানুষকে আপনারা কিছুতেই এই বিচারের প্রহসনটা গেলাতে পারবেন না। আপনারা তাদের বোঝাতে পারবেন না যে আমরা স্পার্টার সিনেট, আথেন্সের অ্যারিওপ‍্যাগাস, কিংবা ভেনিসের কাউন্সিল অফ টেন এর সময়ে পৌঁছে গিয়েছি। আর তাই যদি না পারেন, তাহলে এমনভাবে এই প্রাণদণ্ড নাই বা উচ্চারণ করলেন। আর যদি এই রকম ভেবে থাকেন, আমাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে যে শ্রমিক আন্দোলন অযুত লক্ষ গরিব মানুষের কাঙ্ক্ষিত আন্দোলন, সেই শ্রমিক আন্দোলনকে আপনারা টুঁটি টিপে মারবেন, তাহলে দিন আমাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। আর তারপরেই জ্বলে উঠবে এক সাংঘাতিক আগুন, যে আগুন ভূগর্ভ থেকে অগ্ন‍্যুৎপাতের মতো ছড়িয়ে পড়বে, লকলক করে উঠবে তার লেলিহান শিখা, আর সেই ভূগর্ভ থেকে ওঠা আগুনকে আপনারা কিছুতেই নেভাতে পারবেন না। আপনারা যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, সেই মাটির নিচেই রয়েছে আগুন — এ কথার তাৎপর্য আপনারা উপলব্ধি করতে পারবেন না। আপনারা তো যাদুতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আপনাদের পূর্বপুরুষরা যাদুতে বিশ্বাস করতেন, আর তাই ডাইনি হত‍্যা করতেন। আর আজ আপনারা ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে বিশ্বাস করেন। আপনারা মনে করেন, এই যা সব ঘটেছে, তার পিছনে ষড়যন্ত্রকারীদের হাত আছে। আপনাদের কাণ্ড দেখে সেই বাচ্চাটার কথা মনে পড়ে, যে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে সেই আয়নার পিছনে নিজের ছবি আছে ভেবে হাতড়ে বেড়াচ্ছিল। আপনারা যা দেখেন, তার যখন অর্থ করতে যান, তখন আপনাদের বিকৃত ও কূটবুদ্ধির প্রভাবে সন্দেহ জেগে ওঠে। আপনারা চাইছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের নিকেশ করে দিতে। তার মানে আন্দোলনকারীদের জবাই করতে। আঃ, বড় বড় কারখানার মালিক, যারা মজুরের পয়সা ফাঁকি দিয়ে বড়লোক বনেছে, তাদের গায়ে হাত তুলুন তো, হিম্মত দেখি! গরিব কৃষিমজুরকে শোষণ করে ফুলে ফেঁপে ওঠা জমিদারদের শাসন করুন তো দেখি! চারপাশে এই যে মেশিন, যা দিয়ে ক্ষেতে খামারে আর কলে কারখানায় উৎপাদন বাড়ছে, জাতীয় সম্পদ বাড়ছে, অথচ যারা সেই মেশিনের সঙ্গে নিজেকে জুতে খাটছে, ঘাম ঝরাচ্ছে, সেই মজুররা দিনের পর দিন ঠকছে, এই সর্বনাশা ঠকাবাজি ব‍্যবস্থাটাকে খতম করুন তো দেখি!

বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে। আপনারা তো ভদ্রলোক। আপনারা সৌভাগ‍্যবশতঃ ওই অসম্ভব সুখ আর আরামের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। আপনারা ধরেই নিয়েছেন, ওই আরাম আয়েশ শুধুমাত্র আপনাদেরই প্রাপ‍্য, আর কারো যেন ওই জায়গায় পৌঁছাবার অধিকারটাই নেই। কিন্তু আপনারা কখনো কি অনুসন্ধান করে দেখেছেন — সত‍্যিই কি আর কারো ওই জায়গায় পৌঁছানোর অধিকার ছিল না? শিল্পবিপ্লবের জোরে যে নতুন পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার ফলেই এই জায়গাটায় আপনারা পৌঁছতে পেরেছেন। কিন্তু আপনাকে এই মাচার উপর তুলে দিয়েই শিল্প বিপ্লব থিতু হয়ে যায় নি, তা এখনো ক্রিয়াশীল, শুধু তাইই নয়, শিল্পবিপ্লব প্রতিদিন আরো সংহত ও ঘনীভূত হচ্ছে।

শিল্পবিপ্লব চাইছে সমস্ত মানবসমাজকে দাসত্বের হাত থেকে মুক্তি দেবে, সকলেই সুন্দর পরিবেশে বাঁচবে। শিল্পবিপ্লব চাইছে সকলের বিকাশ, সমৃদ্ধি ও কল‍্যাণ; আপাততঃ যেটাকে আপনারা একচেটিয়া করে রেখেছেন। আপনারা চোখ থাকতেও ইচ্ছে করে অন্ধ সেজে আছেন বলে ভাবছেন, সমাজবিকাশের প্লাবনটাকে আপনারা ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন। ভাবছেন, গোটাকয়েক পুলিশ দিয়ে, আর তাদের হাতে বন্দুক আর বেয়োনেট দিয়ে, আর কিছু ভাড়াটে গুণ্ডা পুষেই সমুদ্রের গভীর থেকে ছুটে আসা উত্তাল ঢেউকেও সমুদ্রের অতলে পাঠিয়ে দেবেন। আর মতলব আঁটছেন, যদি সেই ঢেউ সাংঘাতিক আর মারাত্মক হয়ে ওঠে তাহলে গোটাকতক ফাঁসির মঞ্চ খাড়া করে তাতেই তাকে ঝুলিয়ে দেবেন। মশাই, আপনারা তো দেখছি প্রকৃতির অসীম শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে চাইছেন! এই আপনারাই দেখছি সত‍্যিকারের ষড়যন্ত্রকারী আর সন্ত্রাসবাদী। বোর্ড অফ ট্রেড এ যে আন্দোলন হয়েছিল, তার প্রসঙ্গে গতকাল এই আদালত বলেছিলেন, আন্দোলনকারী লোকগুলো বোর্ড অফ ট্রেড বিল্ডিংটাকে ধ্বংস করতে চায়, গুঁড়িয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমি তো কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না, কেন‌ই বা শ্রমিকেরা খামোখা একটা বিল্ডিং গুঁড়িয়ে দিতে চাইবে! আমি জানি, শ্রমিকেরা আসলে ওই বোর্ড অফ ট্রেড এ যে তথাকথিত ভদ্রলোকি ব‍্যবসাটা চলে, আর যে ব‍্যবস্থা ওই ঠকাবাজি ব‍্যবসাটাকে আইনি সীলমোহর দেয়, তাকে গুঁড়িয়ে ফেলার কথা বলেছিল। আর যদি এটাই হয়, যে সত‍্যি সত‍্যিই ওই মিছিলে অংশগ্রহণ করা হাজার তিনেক শ্রমিক বোর্ড অফ ট্রেডের বাড়িটা গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল; তাহলে আমি বলব, ওই শ্রমিকেরা নিজেদের প্রাপ‍্য জিনিস বেআইনি পথে উদ্ধার করতে চেয়েছিল।

আর বিপক্ষের মালিকরা কী করছে, না, তারা গোটা দেশটাকে লুঠ করছে। শুনুন ধর্মাবতার, মালিকরা আইনি পথেও লুঠ করছে, বেআইনি পথেও লুঠ করছে। লুঠ করাটাই মালিকদের মহান পেশা। এই যে বিচারালয়, যেখানে সব সময় সুবিচার, ন‍্যায়বিচার আর সমানাধিকারের বুলি আওড়ানো হয়, তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন, যখন দুটো আলাদা আলাদা লোক হুবহু এক‌ই রকম কাজ করে, আদালতের চোখে তারা আসলে এক‌ই রকম কাজ করে না। এই স্বীকারোক্তিটার জন‍্য আমি এই কোর্টকে ধন্যবাদ দিই। এই হল এদের ন‍্যায় আর সুবিচার। এটাই আমাদের এখানে শেখানো হল। আর তারপর এই শেখা বাবদে আমাদের ফাঁসি হয়ে যাবে। সুবিধাভোগী শ্রেণী যখন চুরি করে, তখন সেটা একটা মহৎ পেশা। আর যখন গরিব মানুষ খিদের চোটে কিছু চুরি করে, তখন সেটা বিরাট অপরাধ! একশ্রেণীর ভদ্রলোকেরা সৎপথে পরিশ্রমের চাইতে লুঠপাট করে বড়লোক হতে চাইছেন, এই রকম একটা পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করেছি। কী রকম এই অর্থনৈতিক যুদ্ধটা চলছে একবার চেয়ে দেখুন। খ্রিস্টান দেশপ্রেমিকরা কী ভয়ংকর লুঠপাট করে চলেছে, আর যারা কিনা সম্পদ সৃষ্টি করছে, তারা বাঁচছে বস্তির খুপরি ঘরে। চলুন দেখবেন হকিং ভ‍্যালিতে খনিশ্রমিকেরা কিভাবে আধপেটা খেয়ে বাঁচছে।মননগাহেলা ভ‍্যালিতে এবং আরো আরো খনি এলাকায় কিংবা রেলরোডের ধারে মানুষ কিভাবে বাঁচছে, বিশিষ্ট, ভদ্র ও মহান আইন মেনে চলা নাগরিক জয় গোউল্ড কিভাবে বাঁচছেন। দু ধরনের বাঁচাকে খতিয়ে দেখে বলুন এই ব‍্যবস্থাটার ভিতর আদপে কিছুমাত্র নৈতিকতা আছে কি না, যা টিঁকিয়ে রাখা দরকার।

আমি তো মনে করি এই রকম একটা ব‍্যবস্থাকে টিঁকিয়ে রাখতে চাওয়াটাই একটা সাংঘাতিক অপরাধ। এই কাজটা নরহত‍্যার সামিল। এটাকে টিঁকিয়ে রাখা মানে কলে কারখানায় নারী ও শিশুদের আইনসিদ্ধ পথে ধ্বংস করে দেওয়া। এই ব‍্যবস্থাটাকে রক্ষা করা মানে হাজার হাজার মানুষকে বেকার বসিয়ে রেখে তাদের অসৎ পথে ঠেলে দেওয়া। এই ব‍্যবস্থাটাকে টিঁকিয়ে রাখা মানে শারীরিক ও বৌদ্ধিক বেশ‍্যাবৃত্তিকে টিঁকিয়ে রাখা। এই ব‍্যবস্থাটাকে টিঁকিয়ে রাখা মানে অভাব অসহায়তা আর দৈন‍্যকে একহাতে, আর অন‍্য হাতে ভ্রষ্টাচার, কুঁড়েমি, নোংরামি আর শয়তানিকে টিঁকিয়ে রাখা। এই ব‍্যবস্থাটাকে টিঁকিয়ে রাখা মানেই নানা রকম ভাবে খারাপ জিনিসকে টিঁকিয়ে রাখা। আর শেষপর্যন্ত এটাকে টিঁকিয়ে রাখা মানে শ্রেণীসংগ্রাম চলবে, ধর্মঘট চলবে, তার সঙ্গে চলবে দাঙ্গা হাঙ্গামা, আর খুন জখম। মাননীয় মহাশয়গণ, এই হল আপনাদের আইন ও শৃঙ্খলা। আর আপনারাই এই মাপের আইন ও শৃঙ্খলার প্রতিভূ। এই কাজটা আপনাদের‌ই সাজে। আপনারা আমার অভিনন্দন গ্রহণ করুন।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।