|| নারীতে শুরু নারীতে শেষ || বিশেষ সংখ্যায় মৃদুল শ্রীমানী
by
·
Published
· Updated
সবলা
১৩৩৫ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে “সবলা” নামে যে কবিতাটি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ, সেটি “মহুয়া” কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। সঞ্চয়িতাতেও স্থান পেয়েছে। কবিতার একেবারে সূচনাতেই বলেন, “নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার
কেন নাহি দিবে অধিকার”
একেবারে সোজাসাপটা প্রশ্ন, দয়া নয়, করুণা নয়, সমবেদনা নয়, বলছেন, নারী নিজের দুর্গতি নিজে নিরসন করবে।
মেয়ের মন নিয়ে কবি লিখছেন
” নত করি মাথা
পথপ্রান্তে কেন রব জাগি…”
মেয়ে বলছে
” কেন নিজে নাহি লব চিনে
সার্থকের পথ?”
‘সার্থক’ শব্দটার ব্যবহার লক্ষ্য করতে হবে। সফল এক জিনিস। সার্থকতা পূর্ণতর। ‘সুশিক্ষিত’ আর স্বশিক্ষিত কথা দুটির মধ্যে যেমন এক গুণগত পার্থক্য থাকে, ‘স্বচ্ছল’ ও ‘স্বনির্ভর’ এর মধ্যে যেমন ভাবগত পার্থক্য থাকে, ঠিক সেই গুণগত ভাবগত পার্থক্য এঁকে দিয়েছেন ‘সার্থক’ শব্দের প্রয়োগে।
মেয়ে যুদ্ধ করবে। তেজ, দুর্ধর্ষ, দৃঢ়, দুর্জয়, দুর্গম, দুর্গ, প্রাণপণ, বীর্য, দৃপ্ত, রুদ্রবীণা, এই সব শব্দগুলি আছড়ে পড়তে থাকে।
মেয়ে জীবন চায় সম্মান। তার জন্য নিজেকে সে যোগ্য করে তোলে। দয়া নয়, করুণা নয়, সমবেদনাও নয়। সম্মান। বীরের প্রতি বীরের ব্যবহার চায় একটি নারীমন। হ্যাঁ, ‘সবলা’ কবিতায়।