সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে মৃদুল শ্রীমানী (পর্ব – ১৯)
আমার কথা
৭৩
শ্মশানে স্বজন বন্ধুর সৎকার করতে গিয়ে জীবন সম্পর্কে একটা অস্থায়ী উদাসীনতা আসে। তাকে “শ্মশান বৈরাগ্য” বলে।
অনুরূপ ভাবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে চিকিৎসা প্রার্থীর প্রবল সংখ্যাধিক্য ও তুলনায় কুশলী চিকিৎসা পরিষেবা ও পরিসরের অপ্রতুলতা দেখে একধরণের দার্শনিক উপলব্ধি গজায়।
একে “হাসপাতাল দার্শনিকতা” বলবো।
৭৪
কালের নিয়মে ইংরেজ একদিন ভারত ছেড়ে যাবে, কিন্তু কোন ভারতকে সে পিছনে ফেলে যাবে….. এমন আন্তরিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর উদ্বেগ ও আশঙ্কা যে কতদূর বাস্তব তা আজ প্রমাণিত। এখন কর্তব্য হল দেশের ভিতরে দেশীয় লোকের হাতে দেশবাসীর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করা।
৭৫
ভারত নামে দেশটিকে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর কুক্ষিগত হতে দেওয়া হবে না, এমনটিই ভেবেছিলেন সংবিধান প্রণেতাগণ। ধর্মীয় স্বার্থ আফিমের কাজ করে। স্বাভাবিক যুক্তি বুদ্ধি বিবেচনা নাশ করে। কিছুতেই আমাদের দেশকে ধর্মোন্মাদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না।
৭৬
বিদ্যার চর্চা মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার স্পর্ধা।
জ্ঞানের সামান্যতম স্ফূরণ হলেই বিবেচনা বোধ জাগে। এই বিবেচনা বোধ মানুষের স্বাভাবিক। প্রথাগত শিক্ষা থাক বা না থাক জ্ঞানী ব্যক্তি সর্বদাই ভাল এবং মন্দ কে পৃথক করতে পারেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন।