আগুন আবিষ্কার থেকে বিমান বা রকেট, হেন আবিষ্কার নেই, যা কোনো না কোনো দেবতার মহিমা ক্ষুণ্ন করে নি। বিজ্ঞানের এক একটা আবিষ্কার মানেই দেবতাদের একচ্ছত্র সাম্রাজ্যের দেয়ালে একটা একটা কঠিন গোলা নিক্ষেপ। গতকাল ২৭ ডিসেম্বর ছিল লুই পাস্তুরের জন্মদিন। পাস্তুর দেখিয়েছেন ধুলোবালিতে জীবাণু থাকে। স্টেরিলাইজ করা পাত্রে তরল পদার্থ রাখলেও ধুলোর সংস্পর্শে তাতে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে। দেবতারা না চাইলেও ঘটে। আর কায়দা করে ধুলোর সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে পারলে জীবাণু সংক্রমণ আটকানো যায়। জীবাণু জন্মায় জীবাণু হতে। ধুলোতে তার বাসা। ফক্কা থেকে কিস্যুটি হয় না। ভগবান চাইলেও হয় না। নানা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন তিনি। জন্মদিনে লুই পাস্তুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি।
আর গতকাল ছিল এইএমএস বীগল জাহাজে চড়ে চার্লস ডারউইনের বেরিয়ে পড়ার দিন। ঘুরে এসে তিনি ইভলিউশন এর গল্প বলবেন। যার দেওয়ালগুলি যুক্তি দিয়ে গাঁথা। না, ঈশ্বরের খুশিতে মানুষ তৈরি হয় নি। হয়েছে বিবর্তন ও অভিব্যক্তির পথে। সত্যি বলতে কি, ঈশ্বরের কোনো ভূমিকাই ছিল না। জে বি এস হ্যালডেন আমায় বলতে শিখিয়েছেন, মানুষের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার দৈবীমহিমাকে খাটো করে দেয়।