কাব্যানুশীলনে মলয় রায়

সঞ্চিত আঁধারের ক্লান্ত পদচারণা
খোকা–
আক্রা রোজ দন্ড সাংসারে সম্মিলিত অ আ ই ঈ জরুরি বিভাগ সামলে আয়।
ভাবনা কূপে স্থবির বাবা হীনমন্য চাহনিতে বোবা,
জঠরবাস ইতিবৃত্ত সহায়িকায়, হতাশ গর্ভ নিভুনিভু কথার আলেখ্যে!
করিডর টবে গাছেদের রচনা,ডাইনিং রুমে চিরচেনা আটপৌরে কার্বনকপি।
ঠাকুর ঘরে শান্তি দুঃখের বায়স্কোপ মাড়িয়ে শেষ তক্তাপোশে আমার চৌহদ্দি।
থোকা-থোকা বন্দী গুমোটে সাদা খাঁকির ছোপধরা দাগী অ্যাশট্রেও ঝিমুনি নামে।
কি এক গভীর অসুখ এলো,
শিকড় ছেঁড়া বকের ডানায় উদাসী বেহাগ গলে।
কলতান হারানো বাউলের দোতারা বিষাদী পথ চায়,কুণ্ঠিত মনন কিছুদিন ভারসাম্যহীনে!
সকালের ঠোঁটে আবীর চোঁয়ানো আশা তনুর ঘন্টা পিটানো সুর বলে,
মৃত কংকালে নাম তোলা এখনই নয়।
বৃহত্তর যন্ত্রণায় ক্ষরিত,অভিশপ্ত আবেগের কপালে টিপ আঁকা বিকেল গড়ানো অন্তপারের সন্ধ্যায় এক বেকারত্বের হাঁপরটান।
মধ্যবিত্ত কোন ছেলের অকাল শ্মশান যাত্রার আত্মা বলে বেঁচে গেলাম!
ক্রেতা যুগের দশ-টা পাঁচটা অফিস,ব্যবসার টিউনে উবে থাকা আমি।
দড়কচা মার্কা অপেক্ষায় যুতসই ঘষামাজা দরকার।
সামাজিক খ্যাতি চূড়ান্ত অন্তর্দৃষ্টি নয়নাভিরাম মঞ্চে মধু রসে বক্তৃতা,
দু’হাত জোড়ে একান্ত হিতৈষী রাজনীতিই আঠারো আনা সেরা বাজি।
বয়ঃসন্ধির চোখ পাতা,
অল্প খেয়ালে জোড়া অপরাধী চিনে রাখে।
চাহিদার সামর্থ্যে নিজেদের লালিত কামনা খুন করে সন্তানে প্রাধান্য দেওয়া নামই বাবা-মা!
দিন বদলে সামান্যতম ফিরতি পালায় সমস্যাময় জনগণের পদ্ধতিগত আক্ষেপ,
পান হতে চুন খসা কাহিনীর বিস্তৃত অক্ষরে এলোমেলো খসাড়াতেই পাখির চোখ।
ভীনদেশী তারা মতো ইমোশন,ফিলিংসে খেলার সময় কোথা!
ঝরে যাওয়া থালায় একশ্রেণী খাবার,
অপরে আরাম কিনারায় প্রতিপত্তিতে হন্যে।
ভোটারলিস্টে লম্বা,বেঁটে,মোটু,পাতলু সম্মত মিলমিশে যদি হাঁটে,
অগণিত বক্তৃতা মিছিল বনধের ডাক দরকার আসে না।
জর্জরিত কিছু কন্ঠ উপকন্ঠে আমাদের দাবী মানতে হবে’র জোরালো আচরণ।
রুটিন চেকআপে দিব্যি বুদ্ধি গলানো শ্বাশত ফুলদলে জাগতিক অভিনব সুরতহাল।
হরেক গলি মহল্লার পোহানো দুর্ভোগে আঁধারের ক্লান্ত পদচারণা আপাততঃ বিশ্বস্ত,জনপ্রিয় চেনা মুখ।
অপেক্ষাকৃত সুস্থ সিঁড়ি বাওয়া সফলকাম অসীমের নিঃশব্দে উচ্চতা মাপি,
কাঙ্ক্ষিত স্পর্শ বীজ অবারিত পালকে হাল্কা হয়।