সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মধুমিতা রায় (পর্ব – ৭)

এই জীবন
বেশ কয়েকদিন হল অরিত্রর সাড়া পাচ্ছে না মনিমালা।অথচ সবুজ আলো জ্বলছে, এগারোটায় রাতের খাওয়া মিটলে মোবাইলটা নিয়ে বসলো। সবুজ আলো তখনও জ্বলছে।প্রচন্ড অস্থির লাগলো, অস্থির আঙুল মোবাইলের স্ক্রিনে।সার্চ করে অরিত্রর প্রোফাইল বের করল।
রাত বাড়ছে, ঘড়ির কাঁটা বারোটায়।সবুজ আলো জ্বলছে।রাত এগোচ্ছে…
অরিত্র কার সাথে এত ব্যস্ত! দেখছেই না সে অন! ভীষন কান্না পেল। চোখ ঝাপসা।টপটপ করে চোখ জুড়ে বৃষ্টি নামল।
কি হল! শুতে এসো… সুমন হাঁক দিল
যাইইই… চোখ মুছে ওয়াশরুমে ঢুকলো মনিমালা।সারা মুখে জলের ঝাপটা দিল।
সারারাত ছটফট করতে করতে ভোরের দিকে ঘুম এল
একটা নদী,তার উপর কাঠের সাঁকো এপারে মনিমালা ওপারে অরিত্র একটা বকুল গাছের তলায়।
চলে এসো… অরিত্র ডাকলো
সাঁকোটা বড্ড দুলছে।কিছুতেই মনিমালা এগোতে পারছে না।
কি হল! তাড়াতাড়ি এসো, আমার সময় নেই… অরিত্র আবার ডাকল
অ্যালার্মের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল মনিমালার
মাথাটা ভার হয়ে আছে।
স্কুলে যেতে ইচ্ছে করল না।এখন আর অরিত্র থাকে না পথের বাঁকে।পথ আছে সেরকমই।ঝোপের হলুদ ফুল, সাদা প্রজাপতির ওড়াউড়ি, চায়ের দোকানের বেঞ্চ,পুকুরঘাটের একলা মাছরাঙা,সব্বাই তেমনি আছে শুধু সেই দুটো মুগ্ধ চোখ… আবারও চোখ ভিজে গেল অজান্তেই।