সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে মৌসুমী নন্দী (যাপন চিত্র)

অন্য এষণা
এই যে এই শহর, ভীষণ ব্যস্ত, তবুও মাঝে মাঝে কোলাহল হারিয়ে সান্ত্বনা খোঁজে ৷কোলাহল শুনতে শুনতে রাজপথ হেঁটে যাচ্ছে লাইন বরাবর ৷ না বলা কথাগুলো কর্পূরের মত উবে যাচ্ছে ,ঘুম ভাঙ্গেনি তখনো স্বপ্নের ৷
একটা মাকড়সা বাসা বেঁধেছে নষ্ট মনে ৷ তার আটপা ক্রমশঃ জাল বিস্তার করে চলেছে ৷ বুকের ভিতর জালে জড়িয়ে যাওয়া কথাগুলো শুকনো পাতার মতো ঢিপ হয় ৷ অকারণ ডুবে যাওয়া, শরীর কুঁকড়ে যাচ্ছে , অতৃপ্ত হৃদয় ,উপড়ে ফেলতে চাইছে মনের গোঙানী ৷ ভালোবাসাগুলো বেরিয়ে আসতে চাইছে ভ্যালেনটাইনের গোলাপচিরে ৷ ইথার তরঙ্গে জাহান্নামের পদশব্দ ৷হাহাকার সব গুলো যেন সব এক একটা ফসিল ৷
স্বপ্নের গা থেকে খুলে খুলে পড়ছে স্বপ্ন ৷ স্নায়ুজয়ী রাতগুলো জমিয়ে রাখি মাসকাবারী ফর্দের মতো ৷ বুকের ভিতর অসম্ভব জ্বর ৷ কাঁটাকুটির খেলায় আর দায় নেই কোনো খুচরো জমানোর ৷ প্রিয় ঠোঁট থেকে মুছে যাচ্ছে হৃদয়ের দাগ,একঘেয়ে ভুল মুছে অভিমান গুলোও ফিকে হয়ে আসে ৷ ঝরে যায় শরীর থেকে অনেকান্ত ধ্রুপদী বাসনা৷ বৃষ্টিহীন বাতাসে যেমন ভাসে চাতকের হাহাকার তেমনিই সীমানা ছাড়িয়ে প্যাকেটবন্দী ইচ্ছা গুলো আলুথালু পাড়ি দেয় ৷
রাত বাড়ার সাথে সাথে অন্ধকার যতই বাড়তে থাকে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা ততই এগিয়ে আসে আমার দিকে ৷ আমি লাফিয়ে ধরতে যাই ওরা লুকিয়ে পড়ে মেঘের আড়ালে ৷কিছুটা বিকারগ্রস্তের মত চলি ৷ তারাদের ঘুমের নির্বেদ সপ্তকে বর্ণমালা থেকে খসে পড়ে রাগিনী ৷ অন্ধকারে ছায়া ক্রমশ ছোটো হয়ে আসে ৷ ঘোলাটে ইচ্ছা গুলো জুড়ে জুড়ে জ্বরের ঘোরে শীতল বিছানায় একরাশ একঘেয়ে ভুল লিখে ফেলি বীজ মোড়কে ৷৷পূতমন্ত্রে আগুণ জ্বালি ৷ আগুণ লেলিহান হলে শান্তি খুঁজে পাই ৷ সারা শরীরে বইছে জল ৷ জল ঝরাতে তৈরী আগুণ দাবানলের মত রাত ফুরোলে বুকের ভিতরে তৈরী করে গভীর ক্ষত ৷ এখনো তো বাকী আছে কিছুটা সংঘাত ৷ তবুও বেঁচে থাকে যাপন – —অতীত আঁচড় অ্যাসিডের পোড়ার মতো জ্বালা ধরায় হাড়-মজ্জায় ৷মৃত্যুর বীজগোনা শুরু হয় ৷এইভাবে ছাই হওয়ার মজাটাই আলাদা _—ইচ্ছেরা পূর্ণতা চায় ,বলা না বলার ফাঁক থেকে যায় একলা বিছানায় …… শুয়ে থাকে প্রেম, ধোঁয়া ছেড়ে এগিয়ে চলছে ইচ্ছেরা মৌন মিছিলে —–