• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে মৌসুমী নন্দী (যাপন চিত্র – ৩৩)

যাপনচিত্র – ৩৩

এলোমেলো

মাঝে মধ্যে মনে হয় জীবন বোধ হয় শুধুমাত্র
ঠকে যাবার নাম!ভেঙে যাওয়া কথা আর বিশ্বাস ঘাতকদের দেওয়া ক্রমবর্ধমান আঘাতে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে বাঁচতে চাওয়ার ইচ্ছেরা …কোথাও যেন কুল নেই তল নেই,থেমে যাওয়া ঝড়ের মুখে তছনছ মন ।
যেই হাত গুলো হাত ছাড়িয়ে ,আমার থেকে এগিয়ে গেছে অনেক দূরে সেই হাত গুলোই আলো কিংবা অন্ধকারে ভোরের দুঃস্বপ্ন হয়ে তাড়া করে বেড়ায়।
মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন বোধ হয় শুধুমাত্র সেই সব মানুষের প্রতি বেচে থাকা মায়ামোহের অভিসম্পাত…
বাদুড় ঝোলা কাঁচে মেঠো বৃষ্টির গন্ধ লেগে থাকে,
এক কাপ গরম প্রেমে গুলে খাওয়া অক্সিজেন ভালোলাগে।ভেসে আসে জীবনের অর্জিত সব পাললিক শিলা,ঘষা লেগে কংক্রিটে ছিঁড়ে গেছে ছোঁয়াচের ম্যামিলিন।ক্যালেন্ডারের লাল দাগগুলো যেন প্রহরের নিশানা, কেবল সুখ খুঁজেছিলে..
না বলা অসুখ গুলো অধরাই ছিল, শুধু রঙিন কভারের বইটার পাতা উল্টেছিলে..বইটার অসময়ের সই হয়ে পড়ে উঠতে পারেনি একটা পাতাও!!
তাই, বইটা কিছু ক্ষণের জন্য ভালো লাগলেও, ভালোবাসার নেশা হয়ে উঠতে পারেনি কখনোই ।।
চেনা হয়েও যেন এক অচেনা অজানা ঠিকানা .!!
বই এর সই হয়ে উঠা হয়নি ৷শুকনো তেঁতুলে যে স্বাদ আছে তাই আছে প্রেমিকার আস্তাবলে।
ব্যাসার্ধ এঁকে চলে চন্দ্রিমার ভেঙ্গে যাওয়া কম্পাসে,
ভিজে ঘামে রসালো গিরগিটি জিভ দিয়ে আস্বাদ মাপে।ক্লান্তির কোনো অবকাশ নেই মহাবিশ্বের ছায়াপথে,ধূমকেতু অবিরাম খসে পড়ে যৌবনের নিবিড় অরণ্যে ।ব্যস্ত বালুকণা নিজের নাম খোঁজে প্রকৃতির অ্যালফাবেটে,সমস্ত দিন পন্ডশ্রম হয়েযায় থেকে যায় রুষ্ঠ গলিপথে ৷ফ্যালফেলে চোখে চেয়ে আছে বিফল হরমোন।রাগে আর ঘৃণায় প্রকৃত ভালোবাসায় থাকে আড়াল,ফুসফুসের ওপাশে চিন্তার ওঠানামা অস্ট্রোজেন করে নিয়ন্ত্রণ।উলঙ্গ ভ্রমরী ফুলে ফুলে উদ্দেশ্য প্রনদিত আহরণ করে,
সে মধুও খায়, সে হুলও ফোটায় একান্ত নিজের প্রয়োজনে।তবুও আমি বস্ত্রহীন তাকেই ঘিরে ফেলি ইল্যুসেনে,পদ্ম পাতায় জল সম যৌবন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু জীবনে। এখনো নির্জন অন্ধকার সন্ধ্যায় যখন জানলায় হেলান দিয়ে তাকিয়ে থাকা ওই দূরের আকাশ পানে,টিমটিম আলোর গভীরতায় আলেয়ার মতই ভেসে ওঠে সেই মুখ,সেই স্বচ্ছ ক্যানভাসে স্মৃতিদের পিছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন দেখে তার সাথে,একটা একটা করে আসবাব সাজাই না হওয়া সংসারের বারান্দায়,হেডফোন খুলে রেখে বেসুরে গায় “হামকো মিলি হ্যায় আজ ইয়ে ঘড়িয়া নসিব সে ”
দেখি আকাশ তার বুক থেকে নিষ্ঠুর ভাবে খসিয়ে দিচ্ছে তারা৷আর তখন প্রশ্নেরা ভীড় করে নিজে নিজে,
ভাঙা স্বপ্নের খেয়ায় পাল তুলে কেন মন? দু চোখে সামগ্রিক যন্ত্রণার কান্না ভেজা কথা ও উপকথা
সময়ের গায়ে রেখে যাওয়া ক্ষতে ঘুমিয়ে পড়েছে প্রেম শ যোজন দূরে এখন শুধু রক্তাক্ত পালাবদল
চোখে চোখে ইশারা তবুও কত রাত কাটে আলোকবিহীন ৷রাত শেষে দিন দিন শেষে রাত
গাছের ফাঁকে উঁকি মারে আধফালি চাঁদ
ইচ্ছেরা সব ডানা মেলে কল্পনায় ৷গোপন আঁতুড়ঘরে ভালোবাসায় ধুঁয়ে যাক সভ্যতার কুৎসিৎ কলঙ্ক ৷
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *