যোগ্যের মূল্য নেই
সেদিন সকালে রবিন মাস্টার যাচ্ছিলেন বাজারে,
হঠাৎ একজন জিজ্ঞাসা করেন তাকে—
আচ্ছা মাস্টার তোমার চাকরি আছে, না গেছে?
কতটাকা দিয়ে এমন চাকরিটা বাগিয়েছিলে গো?
এখন কেমন লাগছে তোমার, খুব ভালো নিশ্চয়?
তোমরা পারো বটে, সকলকে আবার মুখ দেখাও
লজ্জা ঘৃনা ভয় তোমাদের কিছুই নাই !!
সবাই আবার দলবেঁধে আন্দোলন করো– আমরা যোগ্য।
দাঁতের উপর দাঁত চেপে সব অপমান সহ্য করেন রবিন মাস্টার
দুচোখ দিয়ে অঝোরে জল পরে তাঁর, বুকটা ফেটে যায় ।
নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই চাকরিটা পেয়েছিলেন তিনি
কিন্তু কথায় বলে— হলে পাপী রাজা মরে সব প্রজা।
বাজার সেরে মাথা নত করে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি
তিনদিন পর তাঁর পচা গলা দেহের সঙ্গে মেলে সুইসাইড নোট ।
” আত্মহত্যা করতে আমাকে বাধ্য করেছে যারা
তাদের শাস্তি দিও আমার চাকরিহারা যোগ্য ভাইবোনেরা ।
এমন দেশে জন্মেছি আমি ভাবলে লজ্জা করে
অযোগ্যেরা চাকরি করে, আর শিক্ষিত বেকার ঘরে ঘরে।
দুর্নীতিভরা ভারতবর্ষে যোগ্য বিচার নাই
যোগ্য এখানে ফাঁসি কাঠে ঝোলে, অযোগ্যের আছে ঠাঁই।
বলির পাঁঠা বানালো যারা তাদের বিচার চাই
আমার আত্মা শান্তি পাবে, শুনলে তাদের চেয়ার নাই।
লড়াই তোমরা চালিয়ে যেও যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হও ধরো একসাথে গান।
দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনে বারংবার এসেছ ভগবান
আর একবার তুমি কলিযুগে এসো দুষ্টের করো অবসান।
মানুষ এদেশে অমানুষ হয়ে লাথি মারছে পেটে
মানবিকতা মরে গেছে আজ কেউ খাবে না খেটে।