সাতে পাঁচে কবিতায় মধুসূদন দরিপা

একটি অসভ্য কবিতা

আমার প্রেমিকা একদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল
‘আমার কোন জিনিসটা তোমার সবচেয়ে ভালো লাগে ‘
প্রেমের ব‍্যাপারে আমি চিরকালই খুব সৎ
তখন সবে আমি প্রেমে পড়েছি
তাই সেই মুহূর্তে আমার মনের মধ্যে যে ছবিটি ভেসে উঠেছিল তাকে অনুসরণ করেই বলেছিলাম
‘ তুমি যেদিন ইজার পরা ছেড়ে প্রথম শালোয়ার কামিজ পরা শুরু করেছিলে সেই মেরুন রঙের ইজারটা ‘
আমার উত্তরে লজ্জায় রাঙা হয়ে সেদিন আমার প্রেমিকা বলেছিল
‘ তুমি ভীষণ অসভ্য ‘

আমার ছেষট্টি বছরের বউ সেদিন বেডরুমের জানলা থেকে এক দৃষ্টে
পাশের বাড়ির আতা গাছে ঝুলে থাকা একটা বড়ো সড়ো আতার দিকে তাকিয়ে ছিল
আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো
‘ বলো তো এই মুহূর্তে আমার কী বলতে ইচ্ছে করছে ‘
প্রেমের ব‍্যাপারে আমি চিরকালই খুব সৎ
চল্লিশ বছর হলো বিয়ে করেছি
তাই সেই মুহূর্তে আমার মনের মধ‍্যে
যে ছবিটি ভেসে উঠেছিল তাকে
অনুসরণ করেই বলেছিলাম
‘ বিয়ের পর প্রথম প্রথম রবিবার দুপুরে আমাকে এক ঝটকায় বিছানায় টেনে এনে যেমন চোখ টিপে বলে উঠতে – কি ! এক দান হবে নাকি সাহেব ? ‘
আমার উত্তরে লজ্জায় রাঙা হয়ে
সেদিন আমার বউ বলেছিল
‘ তুমি ভীষণ অসভ্য ‘

আমি ভাবি এমন অসভ্যতা ছাড়া কি সেক্স শিল্পের মাত্রা পেতে পারে
তবুও বউ কিংবা প্রেমিকা ছাড়া যাকে তাকে কি এমন করে বলা যায়

যায় না
মনের কথা মনের মধ্যেই গোপন করে রাখতে হয়
সেটাই সভ‍্যতা সেটাই আর্ট
‘ আর্ট লায়েজ ইন কনসিলিং আর্ট ‘

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।