T3 শারদ সংখ্যা ২০২২ || তব অচিন্ত্য রূপ || বিশেষ সংখ্যায় মহুয়া দাস

দেবী
হে দেবী দুর্গা,
হে দুর্গতিনাশিনী,
তোমার তেজোদীপ্ত মূর্তি
প্রাণে প্রতিষ্ঠা করি।
মেয়েটির চারদিকে
কোথাও কোন আলো নেই আজ।
ঘন অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে
তার পা।
তারপর ধীরে ধীরে
কোমর, নাভি,বুক ,গলা।
ওম মহাদেবায় চে ধীমাহি
দুর্গায়ৈ চে ধীমাহি
তান্নো দেবী প্রচোদেয়াৎ।
মেয়েটির সামনে কিছু নেই
যাকে সে আঁকড়ে ধরে বাঁচে।
কাঠকুটো, গাছের ডাল,
কিচ্ছুটি না,
এবার তো ওর মুখ,চোখ, চুল
সব ডুববে।
এক, দুই ,তিন, চার
সব ডুবছে ,সব ডুবছে।
কি দিয়ে জ্বালাবে তোমরা প্রাণের প্রদীপ?
কি দিয়ে পুজো করবে
মৃন্ময়ীর?
সব আলো শেষ হয়ে গেছে যেন,
সব শক্তি জল হয়ে গেছে।
আর তো আলো নেই,
চারদিকে ঘন কালো জলরাশি…
“কোন আলোকে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে,
তুমি ধরায় আসো”
ওগো মা ,
রক্ষ মাং।
রক্ষা কর।
কিন্তু আর যে সময় নেই।
মা তোমার শক্তিকে রক্ষা করো।
মা তোমার কন্যাকে রক্ষা করো।
সমস্ত বিপদ থেকে, জরা থেকে,
মৃত্যু থেকে।
এক আশ্চর্য্য মন্ত্রবলে
মেয়েটি ভেসে ওঠে আবার।
এক অদ্ভুত আলো
এসে পড়ে তার মুখে,
তার বুকে।
শঙ্খ ঘন্টা, হুলুধ্বনি
বেজে ওঠে চরাচর জুড়ে।
ওম শান্তি, ওম শান্তি, ওম শান্তি হি।
মেয়েটি ধীর পায়ে এগিয়ে যায়
ঘাটের দিকে।
পথ চলবার অমিত শক্তি
যেন জেগেছে তার পায়ে।
জলে ভেসে আসে
এক রক্তকমল।
তুলে নেয় সে,
এগিয়ে চলো কন্যা,
পিছনে ফিরো না আর।