কবিতায় মৌমিতা চ্যাটার্জী

উপলব্ধি

অভিমানে, জন্মান্তরের শোকে উথলে ওঠা গভীরে শুকিয়েছে সেই নদী, যার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে একদিন ভেসেছিল পদ্মপুকুরের কিনারায়, ফুরফুরে হাওয়ায়, দোদুল্যমান সোহাগী হিজল।
রুপোলী চাঁদের জ্যোৎস্নাস্নাতা পটচিত্রে আঁকাছিল অতীতের নৈসর্গিক চিহ্ন।
ভেঙে গেছে চিত্রপট, আর জন্মের বিন্যস্ত পুরাতনী অবয়ব।
টুকরো কাঁচের আগায় স্পর্শকাতর রক্তস্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে শব্দকেন্দ্রিক প্রেমের পসরা।
খন্ডবিখন্ড জীবনচক্রের যেটুকু বাকী ছিল, একরাতের এলোমেলো ঝড়ের প্রগলভতায় নিশ্চিহ্ন হল ।
শেষ হল সংশয়ী কাল।
উপসংহারে উপলব্ধি করলাম, আশঙ্কার ঝড়ভাঙা রাত্রি শেষে একটা নতুন আকাশের আরম্ভ।
শেষ চিঠির মন কেমনের লগ্ন পেরলেই দূর দিগন্ত থেকে ভেসে আসে মোহন বাঁশীর সুরের মূর্চ্ছনা।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।