T3 || কবিতা দিবস || বিশেষ সংখ্যায় মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়

জন্মগ্রহণ- খেলার ছলে
কঠিনতম শীতল অন্ধকারে প্রাণহীন করা নিস্তব্ধতায়,
শতকোটি আলোকবর্ষ আগে দূরের কোনো এক শূণ্য বিন্দুতে-
অধীর আগ্রহে দাঁতে দাঁত চেপে সঠিক সময়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষায় —
তারপরেও অসীম চাপে ও তাপীয় অবস্থায় প্রায় শূন্য হতে,
আরো হাজার কোটি বছরের যোগ নিদ্রা ভাঙ্গার অপেক্ষায়,
ভাসমান স্বপ্নীল তরঙ্গায়িত ফেনিল মহাজাগতিক মায়ায়–
অপেক্ষায় আমি, কৃষ্ণ গহ্বরের অন্ধকারে সম্পূর্ণ একাকী অনামী–
বুক ফাটা আর্তনাদে অসীমের বুকে বলে উঠি, চোখ মেলো হে জননী।
অবশেষে আমার অশুভ জন্মক্ষণে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে–
শুধুমাত্র তোমার জেগে ওঠার মুহূর্তের স্বীকৃত শুভক্ষণে,
তোমার উন্মুক্ত দৃষ্টির সম্মুখে প্রসারিত জড় সম তামসিক শূন্যতায়
ক্রম অগ্রসরমান শূণ্যের ব্যাপ্তিতে জেগে ওঠা আলোক বিন্দুর পরিপূর্ণতায়,
পুনর্জন্মবাদের স্বঘোষিত শৃঙ্খলিত ঘূর্ণায়মান চক্রাকৃতি আকাশগঙ্গায়,
নতুন করে নিয়মের বেড়াজালে আমার পথ চলা শুরু পুনরায়।
তোমার দিব্য দৃষ্টির মেপে দেওয়া সময়ের আবেশে–
শুধুমাত্র তোমারই আত্ম প্রচারের সুকৌশলী উদ্দেশ্যে,
কিংবা, হয়তো বা হয়ে তোমার সর্বক্ষণের খেলার সাথী,
আঁধারে জ্বালাতে দিব্য প্রকাশমান জ্ঞানের বাতি-
তোমারই ইচ্ছার মহিমায় আমার পুনঃ জন্মদিনে,
শূন্য বিন্দুর তাপীয় অস্থিরতার মহা বিস্ফোরণে।।