|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় লিপিকা ঘোষ
by
·
Published
· Updated
হিসাব
– মার জ্বর, গায়ে ব্যাতা, মাতার যন্তনা, ওষুধ দ্যাও না জ্যাটা!
হাঁপাতে হাঁপাতে বছর এগারোর রামু যখন ওষুধ চাইল তখন লঙ্কেশের ধ্যান হিসাবের খাতায়। মুধিখানা, ওষুধ, আলু, ডিম, দশকর্মার হিসাব। দড়ি পাকানো মোটা সোনার চেন গলানো মাথা লাভের খাতায় দড়ি পাকাচ্ছিল ব্যাচা কেনায় টান দিয়ে। মুখ তুলে বলল
-ক’ টাকার?
-টাকা নেই, মা সেরি উঠলি দেবে।
– ধার হবে না–আ–আ, সেরি উঠলে দেবে!
দাঁড়িয়ে থেকে থেকে রামু চলে এল।
রামু শিউলি পাতা, তুলসী পাতা, দুব্বো ঘাস যখন যা পেল রস করে মাকে খাওয়াল। নরম হাতে পাটকাঠি ধরিয়ে ভাত রাঁধল।
রামুর মা তেরোদিন পর কাজেরবাড়ি গিয়ে দেখল নতুনলোক লেগেছে।
বৌ পক্ষাঘাতে পড়লে লঙ্কেশ রামুর মাকে ডেকে তার সাত সাতটা আংটি চমকানো হাত এগিয়ে বলল
– থাকবি, খাবি, ছেলের জন্য পাঠাবি। মাস গেলে তিন হাজার টাকা!
ভ্রু কুঁচকাল রামু।
ঘরে এসে মাকে বলল
– আমার অন্নপাসনের চেনটা আচে না? বাড়িতি মুদির দুকান দাও তো! আমি হিসাব করতি পারব।