কবিতায় লিপিকা ডি’কস্টা মণ্ডল

নিয়তি
বাঁধ ভাঙা বৃষ্টি নেমেছিল সেদিন দফায় দফায়
মৃত্তিকার নিচের স্তরে স্তরে শাবল গাঁইতির ডগায়
বিন্দু বিন্দু চোখেরও জল
যাবার কালে প্রাপ্য শেষ সম্বল।
সে জল সিন্ধু হয়েছিল বড়ো তাড়াতাড়ি
ছেঁচে ফেলতে ফেলতে ভরে যাচ্ছিল আবারো
সাড়ে তিন হাত গর্ত বরাদ্দ আজ তার
একে একে তার মতো সবারও।
ঝম ঝমিয়ে আকাশ ভেঙে পড়ে
কদম তলায় প্রিয় মানুষের ঢল
ছাতা শুধুই বাঁচায় শুকনো মাথা
হৃদয় বাঁচায় নেই সে মনের বল।
তারপরেতে মাটির পরে মাটি ইতর ভদ্র নর্ম সহচর
তোমার নামে উপস্থিত অনুপস্থিত সর্বজনার
দক্ষিণা এককণার।
মাটির পরে একটা দুটো ফুলেই ক্রম ফুলের পাহাড়
মোমবাতি আর আগরবাতির মেলা
তোমার বুকের আলো মুছবে ক্ষণেক আঁধার
তোমার সুকীর্তি কিছুদিন ঘিরে রবে সুবাতাস
তারপরেতে শুধু প্রেতাত্মাদের দীর্ঘশ্বাস…
বারিধারা থেমে গেছে কখন…
অশ্রুধারাও শুকনো গালের পর’
মনের মেঘ একটু কাটতে সময় লাগে….
তবুও দিনশুরু হয় দুপুর হবার আগেই….