কৌশোরের গন্ডী পেরিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন,
মহাবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে,
ভিড়ের মাঝে অসংখ্য মুখ,
তারই মাঝে ধরা দিয়েছিলে তুমি,
এই হৃদয়ের মাঝে।
ধীরে ধীরে এক পরিচয়,
কাছা কাছি নিয়ে আসে দুজনকে,
সময় চলতে থাকে তাঁর নিজস্ব গতি মেনে,
দেখতে দেখতে ফাগুনের বসন্ত এসে ধরা দেয়,
উৎসবের আনন্দ স্রোতের মাঝে সেই প্রথম স্পর্শ,
শিহরণ তুলেছিল এই দুই প্রাণের মাঝে!
সাত রঙে রাঙিয়ে তুলেছিলাম তোমাকে,
তুমিও রঙিন স্পর্শে এক নিবিড় বাঁধনে বেঁধেছিলে আমায়, সকলের আড়ালে, সকলের অনুপস্থিতে!
তবে বুঝিনি সেদিন,সেছিল কেবল মায়ার বাঁধন,
এক অলীক স্বপ্নকে প্রশ্রয় দিয়েছিল সেদিন,
কাছের এক বন্ধুর নিকট সংবাদ পেলাম,
আগামী বৈশাখে তোমার বিবাহ!
মুহূর্তে আমার রঙিন পৃথিবী এক কাঁচের স্বর্গে,
পরিণত হল!
আমার প্রণয়ের খাস মহল রূপান্তরিত হল এক নিষ্ঠুর পরিহাসে,
প্রেমের দেবতা বুঝি তর্জনী তুলে বলেছিল সেদিন,
প্রেমের পরিণতি নেই তোমার ললাটে!
কিন্তু ভবিষ্যতের গর্ভে লুকিয়ে ছিল এক ভিন্ন অভিপ্রায়,
সেই ফিরে এলে তুমি,
তবে এক ভিন্ন বস্ত্রে,
এক অভিশাপ,
এক অকাল বৈধব্য গ্রাস করেছিল,
জীবনের সকল রঙে, সকল অভিলাষকে!
কিন্তু এই সমাজের রক্ত চক্ষুকে পারিনি সেদিন উপেক্ষা করতে,
পারিনি সেদিন তোমায় যোগ্য মর্যাদা দিতে,
পারিনি সেদিন তোমার এক বিন্দু অশ্রুর ভাগীদার হতে-
বসন্তের রঙিন প্লাবন হয়ে উঠেছিল এক দুঃস্বপ্ন-
বিরহের যন্ত্রনাই সেদিন এক চিরন্তন সত্য,
বসন্তের বিরহ আর এক হতে দেয়নি,
তোমাকে আর আমাকে!!