ছিলাম এক গ্রামের ছেলে,
পাশে বয়ে যেত এক ছোট্ট নদী,
নাম তার সরস্বতী,
প্রভাতের আলোয়ে জন্ম নিত এক আলোর খেলা,
সন্ধ্যায় শোনা যেত তার কুলু শব্দ!
কত বিকেল কেটেছে তার সৈকতে,
সখাদের সাথে খেলা,
হৈচৈ,
সাঁতার কাটায় কেটে যেত সময়,
বুঝতে পারতাম না আমরা!
নদীর সামনের দুটি নারকোল গাছের পাতার শব্দ,
জাগাত এক শিহরণ-
যেন কোন প্রেতের আবির্ভাব ঘটেছে!!
কতটা সরল ছিল সেই দিনগুলো-
দূরে ভেসে যাচ্ছে কোন নৌকো,
মাঝির সুরের টানে-
গড়িয়ে আস্ত বেলা,
টিমটিম করে জ্বলছে কিছু আলো-
রাতের অন্ধকারে মিলিয়ে যেত আমার গ্রাম,
তবু সেই আজও বড় আপন,
বড় কাছের বলে মনে হয়,
প্রতিক্ষণ,
প্রতিনিয়ত!!