• Uncategorized
  • 0

হৈচৈ প্রবন্ধে কুণাল রায়

চিঠি

চিঠি। শব্দটির সাথে আমরা সকলে পরিচিত। তবে এই চিঠি নিয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম একাদশ শ্রেণীতে,নাম ছিল”On Letter Writing”, A G Gardiner. পেরিয়ে এসেছি জীবনের অনেক গুলো বসন্ত। চিঠি আর লেখা হয় না, পড়াতো অনেক দূরের কথা।
তবে আজ সন্ধ্যায়, কলেজ থেকে ফেরবার পর, হঠাৎ করে একটি অতি পুরোনো পঞ্জিকার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে, চোখে পড়ে এক পুরোনো চিঠি, প্রায় পনেরো বছর আগে লেখা আমার ছোড়দির। আমি তখন স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি নামী কলেজে। চিঠিটা হাতে নিয়ে এক স্মৃতির সাগরে ভেসে যায় এই মন। কত পুরোনো কথা তাতে লেখা, কত পুরোনো আবেগ সিক্ত মুহূর্তের সুন্দর বিবরণ দেওয়া, কত প্রশংসা,কত উপদেশ যে উপস্থিত তা আমি এই সীমিত স্থানে ব্যাখ্যা করতে অক্ষম। চিঠির শেষে আমার ভাগ্নের অপরিণত হাতের লেখায় কিছু মন ছুঁয়ে যাওয়া কথা। বর্তমানে সে রসায়নে পি এইচ ডি করছে। এক নিছক ভালো লাগা ছাড়া আর কিছুই না!
তাই বলা, যতই হাই টেক যুগ আসুক না কেন, চিঠির বিকল্প কেবলমাত্র চিঠি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৫১ সালে দেশ পত্রিকায়” চিঠি” কবিতাটি লেখেন, এরপর আর ওনাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। কবি জয় গোস্বামী ওনার আত্মজীবনীতে বলেছেন যে পুরোনো চিঠি পড়তে উনি খুব ভালোবাসেন। তবে এই তথ্যটি আমি ওনার লেখা” হৃদয় প্রেমের শীর্ষ” বইটির একদম শেষে আবিষ্কার করেছিলাম। বলাবাহুল্য যে বড্ড ভালো লেগেছিল সেদিন!!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।