ঝিক্-ঝিক্- করে ট্রেনটা চলে গেল।ক্রমশঃ টেল রেড লাইটটা মিলিয়ে গেল ঐ দূ-রে-।স্টেশনে যে কয়েক জন ছিল তারাও দেখতে দেখতে চলে গেল।
এটি এক মফঃসলের ছোট্ট স্টেশন।লোকালয় থেকে তাও কিমি খানেক দূরে।একটু নিরিবিলির ছোঁয়া লাগা।
এখন পাঁচটা পঞ্চান্ন।কনক বাঁ হাতের কব্জিটা ঘুরিয়ে টাইমটা দেখলো।সন্ধ্যা নামছে। এটাই ছিল আজকের লাস্ট ট্রেন।
কনক বেড়াতে বেড়াতে এদিকে প্রায়ই আসে।এই একটু নির্জনতার ছোঁয়া মনে মেখে নিতে।ভালো লাগে।
এখন ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে পড়ে আছে ভাঙা ভাঙা একটা ভাঁড় মাত্র। তাতে ঠক্ ঠক্ করে ঠোকরাচ্ছে খালি একটা কাক।হঠাৎ হুস্ করে উড়ে গেল সেটিও।কাকটার পায়ের চাপে ভাঁড়টা গড় গড় করে এদিক ওদিক একটু গড়িয়ে থেমে এলো।ধীরে ধীরে চারপাশের অন্ধকারে মিশে গেল এক মন কেমন করা নীরবতা।একা এক নীরবতা।