• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় কৃষ্ণ কোঙার

তিন্নির কল্পলোক

তিন্নির বাঁধন হারা উচ্ছ্বাস। স্বপ্নপুরীর খেলা। কল্পনার আঙিনায় করে বিচরণ। পটভূমি উন্মোচিত হয় একের পর এক। জীবন থেকে নেওয়া। দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার সমারোহ। শিশুরা কল্পনাবিলাসী। ওরা উদ্ভাবনী শক্তির আধার।
কল্পলোকের কল্পিত সংলাপ। কখনোও মুঠোফোনে অথবা কল্পিত পটভূমিতে। ওদের ভাষা ওরাই জানে। শিশুদের ওই রাজ্যে বড়দের নেই প্রবেশাধিকার। একাকীত্বের অদ্ভুদ পরিপূরক। নিজ ভাবনায়, নিজ আঙ্গিকে গড়া কল্পলোক।
এভাবেই কাটে তিন্নির দিনগুলো। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে। অফিসের অনুশাসনে
বাবা মায়ের প্রহর কাটে কর্মমুখর উৎকণ্ঠায়। অতিমারী কালে দুই ঘরে চার দেওয়ালের সীমাবদ্ধতায়। সেখানে প্রবেশাধিকার নিষেধের বেড়াজালে মাথা কুঁড়ে মরে।
তিন্নির নিঃসঙ্গতার পথে ও নিজেই খুঁজে ফেরে বিকল্প পথের সন্ধান। ঠিক দিশা খুঁজে পায়। নিজেকে মানিয়ে নেয়। কল্পনার রঙে গড়ে তোলে
কল্পলোক। ওর বিদ্যালয়ের ও পরিচিত সকল শিশুরাই ওই কল্পলোকের বাসিন্দা। তারা একসাথে বিচরণ করে, বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠে, ফোনালাপ করে, গাড়ি চালায় ও আরও নানা শিশুসুলভ খেলাধুলায় মত্ত থাকে।
অন্যান্য শিশুদের কল্পিত উপস্থিতি ও সাবলীল কথাবার্তা কল্পলোককে আরও মজাদার করে তোলে।
এভাবেই তিন্নির মত আজকের শিশুরা মানিয়ে নেয় নিজেদের – নিজেদের কল্পনার দীপ্ত প্রবাহে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।