কবিতায় কার্তিক দেবনাথ

একটুকরো রুটি
শোনো বুভুক্ষু মানুষেগুলোর আর্তনাদ,
যারা আজো পায়নি স্বাধীনতার স্বাদ।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পোশাক, বাসস্থানের অভাব,
যাদের বুঝানো হয় পূর্ব জন্মের অভিশাপ।
দূর থেকে নয় অন্তত কিছু জানবার আশে,
যাও ঝুপড়িতে থাকা নগ্ন শিশুদের পাশে।
দেখতে পাওনি কখনো! চাক্ষুষে পাবে,
ভালোবেসে দুঃখের কথা সব জেনে নেবে।
একটুকরো রুটির বিনিময়ে দুঃখের কথা,
গড়গড় করে বলে দেবে মনের সব ব্যথা।
তাদের দুঃখে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করে,
মর্মকথা উপলব্ধির বদলে অধিকার হরে।
চন্দ্র সূর্য্য বনজঙ্গল আকাশ যাদের দখলে,
তারাই ভোগে অপুষ্টিতে না খাওয়ার ফলে।
তোমরা নিয়েছ শিক্ষা- দীক্ষা শহর বন্দর,
ওদের ভাগে বরাদ্দকৃত বস্তির নোংরা ঘর।
আমার লেখা কবিতা জানি মূল্যহীন পাতা,
তবু লিখবো গরীব গৃহহীন মানুষের কথা।
ধর্ম বর্ণ সাম্প্রদায়ে লড়াইয়ে তোল ফায়দা,
নিরিহ অবহেলিত বঞ্চিতের সঙ্গে কায়দা!
লোক দেখানো ধনীর চোখেতে মায়াকান্না,
গরীবেরা চায় ভাত চায়না হীরা চুনী পান্না।
চলবে কলম আর্তের স্বার্থে সদা সবখানে,
মানুষ উজ্জিবিত হলে শান্তি পাবো প্রাণে।