কাব্যানুশীলনে জয়ন্ত দত্ত

ছায়াবাজি
হঠাৎ গলে গেল দুপুর
ঘরের দরজায় ঝুলে আছে বেগুনি সন্ধ্যা পর্দা
আমি বিদঘুটে গলির মোড়ে চোখ রাখতেই
একটা জলফড়িংকে হেঁটে যেতে দেখলাম
ওর ঘুঙুরের আওয়াজে আমার এ চিলেকোঠা
হয়ে ওঠে অলীক বাদশাহি নাচঘর
বুকের হাপর ওঠে-নামে
যেন কোন এক বাইজির
বিখ্যাত নাচন ভঙ্গিমার মহড়ায়
আমি লুপ্ত হতে থাকি হিম রক্ত ও
উষ্ণতায়
কৌতুহলে ছুড়ে দিই প্রশ্নচোখ ছাদের রেলিংয়ে
তোমার চোখের কুহকে আঁকা যে আলোর প্রচ্ছদ
সেখানে তুমি অতৃপ্ত ইতিহাসে টিটকারি হাসো
মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে নীল হাসির কাঁচগুঁড়ো
সহসা নেমে আসা অন্ধকারের গ্রীবায়
জেগে ওঠে আটপৌরে ভাবনা
একটি মোমবাতি আলোর প্রতিচ্ছায়ায়
আঙ্গুল নাড়ানোর কৌশলে
দেওয়ালে দেওয়ালে নাচতে থাকে
জলফড়িংয়ের সঙ্গম দৃশ্যের ছায়াবাজি