বড়ো বিবর্ণ ও বিমর্ষ চারিধার
লেলিহান জিভ মেলে ধরেছে আগ্রাসী মৃত্যু
কোথাও এতটুকুও শান্তি নেই —
তোমার কাছে গিয়ে বসি
সেই অমোঘ বাণী
“তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই,
কোথাও দুঃখ কোথাও মৃত্যু কোথা বিচ্ছেদ নাই।”
পালাতে চাইছি কবি
জীবনকে রেখে জীবন থেকে পালানো যায়!!
কাপুরুষতা আর স্বার্থপরতা নিয়ে কতদূর!!
তখনই তোমার উচ্চারিত ধ্বনি আমাকে বিলীয়মান সীমায় পৌঁছায়
বিশাল সমুদ্রের সামনে ক্ষুদ্র এই আমি আর অজ্ঞানতা –
শৈশবে বিস্ময় থাকে চোখে
নতুন পৃথিবীকে নতুন চোখে দেখা
আজও মনেপড়ে,
“কাল ছিলো ডাল খালি / আজ ফুলে যায় ভরে।”
ফুল তো শুধু চোখের সুন্দরতা ও জন্ম নয়
তার ফুরিয়ে যাওয়াও মৃত্যুর কথা বলে।
আজ সেই বিস্ময় জীবন ব্যাখ্যায় ফিরে এসেছে আমার কাছে –
“নাচে জন্ম নাচে মৃত্যু পাছে পাছে”
দুঃখ সুখের বিলাসিতায় জীবনচক্রের আনন্দ মুরতি
কী অদ্ভুত এই নিস্পৃহতা —
কবি আজও তুমি অধরা
শুধু ভোরের সূর্য নয় সবাই তোমার “মিতা”
হৃদয়ের অলঙ্কার দিয়ে সাজিয়েছো প্রেমে বিরহে পূজায় প্রকৃতিতে –
কত অধ্যায় চলে গেলো নিয়ম অনিয়মের বহির্জগতে
অন্তরাত্মার চোখে চোখ রাখলাম কই?
লক্ষ কীটের সংক্রমণের ধ্বংসাবশেষ গড়ে আছি
অথচ তুমি নির্দ্ধিধায় সকল দুঃখ দলে;অপরাজেয় আজও
মহা যোগীর বোধি প্রাপ্ত দর্শন তোমার নক্ষত্রীয় চোখে
বিপুল তরঙ্গের সামনে আদি- অনাদি আজ কাঁপছে
এই সুন্দর ছেড়ে, সবাইকে হারিয়ে লেখা হবে অনন্ত কালো রাত্রি!!
শূন্য এই চরাচরে পরাভূত হবে জীবনের জয়গান?
মনেপড়ে তোমার অভয় শক্তি বাক্য
“নাই নাই ভয় হবে হবে জয়, খুলে যাবে এই দ্বার”
আমার চেতনা বিহ্বলতায়, অশ্রু নদীর পারাবারে তুমিই এসে পথ দেখাও হে গুণী
ঠিক সেই মুহুর্তে তুমিই আমার আত্মস্থ প্রকৃতি –