কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে জয়নাল আবেদীন (গুচ্ছ কবিতা)

১| বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ গ্রাম

পান্তুমাই

শ্যামাবতী গ্রামটি
নাম তার পান্তুমাই
কি অপরূপ রূপ তাহার
এমন গ্রাম কোথাও নাই,
গ্রাম নয় যেন এক
রূপবতী কন্যা
হৃদয় দিয়ে বয়ে গেছে
মায়াবতী ঝর্ণা।
আম,কাঁঠাল,আনারস,
পান সুপারির সারি
মুুগ্ধকর রঙ সাজানো
কত রঙের বাড়ী।
আঁকা বাঁকা রাস্তা আর
ছায়া ঘেরা গ্রাম,
বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে
শ্রেষ্ঠত্যের সুনাম।
ঝর্ণার শব্দে কাটে নিজুম রাত
মনোমুগ্ধকর হয় স্নিগ্ধ সুপ্রভাত।
ভোর সকালে পাখি গায়
কত সুরে গান,
শোনে জুড়ায় যে
হৃদয় মন প্রাণ।
বর্ষায় মাঝে মধ্যে রেগে গিয়ে
ছড়ায় সে বন্যা,
এতো অভিমান কোথায় পায়
মায়াবতী ঝর্ণা।
এ গ্রামের মানুষ বেশ
অতিথিপরায়ন,
মুগ্ধকর তাদের ভালোবাসা
কোমল তাদের মন।
বর্ষায় পান্তুমাই মুখরিত থাকে
হাজার দর্শনার্থী ঢলে,
মন পূর্ণতা পায় স্নান করে
মায়াবতী ঝর্ণার জলে।
দৃষ্টিনন্দন গ্রাম আর
কোথাও দেখি নাই
যত দেখি তাহার রূপে
প্রেম হারিয়ে যাই।

২| সিলেট

তিনশত ষাট অলি আউলিয়ার ঘাটি,
শাহ জালাল,শাহ পরানের পবিত্র মাটি।
মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেবের পূন্যভূমি,
শত সাধকের পদচারনায় শত গুনে দামী।
হৃদয় ছোঁয়া বিছনা কান্দী প্রকৃতির কন্যা,
প্রকৃতির রূপে বিচরিত মায়াবতী ঝর্ণা।
মন হারিয়ে যায় তাহিরপুরের নিলাদ্রীর নীলে,
মুগ্ধময় হয় মন জৈন্তাপুরে শীতের শাপলা বিলে।
মাধব কুন্ডের জলপ্রপাত মুগ্ধনজড় কাঁড়া,
মন ছুঁয়ে যায় প্রকৃতির রূপে সাজানো লক্ষণ ছড়া।
জাফলংগের পিয়াইন নদীর তীরে,
মুখরিত থাকে হাজারও দর্শনার্থীর ভীড়ে।
হবিগঞ্জের কমলার দিঘী,সাতছড়ি উদ্যান,
কমলগঞ্জের হামহাম ঝর্ণা দেখে হয় উদাসী প্রাণ।
পূর্ণিমার রাতে টাঙ্গুয়ার হাওরে চাঁদ বিলাসীর হাসি,
কমলগঞ্জের ফিকল ঝর্ণায় সুন্দর্য্য রাশি রাশি।
সবুজের ছাঁয়া ঘেরা চা বাগানের সারি,
ইতিহাসের সাক্ষী!
চাঁদনীঘাটের সিঁড়ি আলীআমজদের ঘড়ি।
রাধারমণ,আরকুমশাহ,হাসনরাজা,করিম শাহের গান,
বাউলা সুরে মনে আউলা লাগায় জুড়ায় মনোপ্রাণ।
পূন্যভূমি রূপের ভূমি সুরমা নদীর তীরে,
জনম আমার সার্থক জন্মেছি সিলেটের নীড়ে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।