চেয়েছিলে তুমিও
নিবারণ চক্রবর্তীরা আসুক ঝাঁ-চকচকে চেহারায়,
আগ্রাসী সৌরমন্ডলের গনগনে আঁচ থেকে
দূরত্বে দাঁড়িয়ে যারা নির্মাতা হবে ভিন্ন আলোর ।
অতঃপর আমি ও আমরা উত্তরাধুনিকতার দায় আর
প্রতিনিধিত্ব কাঁধে নিয়ে স্বজ্ঞান সচেতনে
ভরে তুলছিলাম কখনও তীর্যক, কখনো শানিত শস্য
কখনো পরাসুন্দরের ভাঁড়ার ।
আমাদের মেধাজুড়ে দূর পশ্চিম, আমাদের প্রজ্ঞায়
সুদূর পুর্বের দীক্ষা ও পরম্পরা ।
অথচ দীর্ঘ পরিভ্রমণের পর বিব্রত আমরা দেখলাম,
যে অঙ্কুর ছুঁতে চাই তাতেই তোমার আলখেল্লার
রোঁয়া লেগে আছে । স্বচ্ছ হ্রদের আয়নায়
নিজের সঞ্চয় ব্যারোমিটারে মাপতে গিয়ে দেখি
তোমার তৃভঙ্গ ছায়া জলনৃত্যে সমূহ মূদ্রায় ।
সহস্রাব্দ পেরিয়ে এসে, উত্তরপুরুষেরা দীর্ঘ সারি বেঁধে
আজ দাঁড়িয়েছি তোমার সম্মুখে, ছাতিমতলার ক্যামোফ্লেজে
রৌদ্রছায়ায় তোমার স্বপ্নের যতো নিবারণ চক্রবর্তীরা ।
তুমি রাগী চোখে মাপছো পিগমি মানবদের সমগ্র অন্তঃসার ।
আর সন্ত্রস্ত আমরা দেখলাম, সৌরমন্ডল থেকে
বেরুনোর আত্মশ্লাঘায় আমরা সবাই মিলে
খুব খুদে বামন এক রবি-সংস্করণ ।
আচ্ছা, তোমার এতো এতো স্থিরচিত্র,
কিছুকিছু চলচ্চিত্রও, সর্বত্র অতুষ্ট তীব্র রাগী চোখ—
উত্তরপুরুষদের অপারঙ্গমতা
তুমি আগেই দেখেছিলে অন্তর্ভেদী দিব্যদৃষ্টিতে ?
তোমার সহাস্যমুখ কোন ছবি আমাদের কারো কাছে নেই।