সম্পাদকীয়

পুজো চলে গেল, দীপাবলীও । প্রত্যেক বছর এই সময়টাতে এলি মেমসাহেবের কথা বড্ড মনে পড়ে । ভদ্রমহিলা জার্মান ছিলেন । বিয়ে করেছিলেন ভারতীয়কে । পুজোর সময় গরদের শাড়ী পরতেন, শাখা, পলা পরতেন, বিজয়ার নাড়ু বানাতেন । ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে অসাধারন কচূর শাক রাধতেন । দীপাবলি আর হ্যালোউইন বরাবরই হাত ধরাধরি করে এসেছে , তাই দীপাবলী প্রদীপে তেল ঢালার সাথে সাথে সুগন্ধি মোমবাতিও জ্বালতেন, জার্মানি থেকে আনাতেন সেই মোমবাতি । তখনো এ দেশে ‘ফ্র্যাগর্যান্ট ক্যান্ডেলস’ পাওয়া যেত না । মাটির প্রদীপে তেল ঢেলে তাতে সলতে দিয়ে আগুন দিলে , একটা তেল আর মাটি মেশানো গন্ধ বেরোত, সেই গন্ধ, সুগন্ধি মোমের গন্ধ মিশে যেত । এলি মেমসাহেব এক রেকাবিতে চকোলেট রাখতেন, আরেকটাতে নাড়ু । ওনার কাছে দুটোরই ঢালাও সাপ্লাই থাকত ।
পূর্বপুরুষদের দেখানো চোদ্দ বাতি আর এনসেস্টার্সদের দেখানো হ্যালোউইনের মোমবাতি মিলে যেত ছোট ছোট ধোঁয়ার কুন্ডুলিতে, মেমসাহেবের নিখাদ ভালবাসায়।
মেমসাহেব এখন পরপারে । আলোর পথ ধরে নিশ্চয়ই আসেন এপারে । আলোর রেখা তো ভাগ মানে না ।
ইন্দ্রাণী ঘোষ