সম্পাদকীয়

পুজো চলে গেল । প্রতিবছর যেমন আসে তেমন চলেও যায় । পুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ শাড়ী । একেকটা শাড়ী শুধু শাড়ী নয় একেকটা গল্প । ভাজে ভাজে পরতে পরতে নক্সার বুনোটে ফুটে ওঠা গল্প । দাম্পত্য বন্ধনের প্রকাশ তো বাঙালি ঘরে দুজনে মিলে শাড়ী কিনতে যাওয়াতেই । এই পুজোর আগে আদি ঢাকেশ্বরী, পি. মজুমদার, শিবাণী তে গিয়ে রঙের বাহারে হারিয়ে না গেলে আর ভালবাসার প্রকাশ হল কি করে । এক বান্ধবী একবার বলেছিল ‘ বর বগলে, লেবু চায়ের ভাড় একহাতে আর একহাতে আদি ঢাকেশ্বরীর প্যাকেট তাতে সরু পাড়ের তাঁতের কাপড়, জমিনটা খালি, সেই জমিনে নক্সা তুলবে আমার আর্টিষ্ট বর । আমি সেই নক্সার কথা চিন্তা করতে করতে লেবু চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেব, বরের হাতে আলতো চাপ দেব, আর ভিড়ের ঠ্যালা খেতে খেতে গড়িয়াহাটের মোড় থেকে ট্রায়েঙ্গুলার পার্ক যাব আবার ভিড় আমাকে ঠেলে গড়িয়াহাট এনে ফেলবে । এই না হলে পুজোর বাজার ‘। শুনে বান্ধবীটিকে গড় করেছিলাম । সাজু, রূপাইয়ের নাম রেখেছে সে মেয়ে, দক্ষিণ কলকাতায় আজন্ম থেকেও । শাড়ীর নক্সায় ভালবাসার গল্প তোলা এখনো হয় কবি জসীমুদ্দিন জানলে বেজায় খুশি হতেন ।
এইসব গল্প নিয়েই পুজো আসে, পুজো যায় । বিসর্জন আছে বলেই আবাহন আসে ফিরে ফিরে ।
শুভ বিজয়া সকলকে।

ইন্দ্রাণী ঘোষ

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।