সম্পাদকীয়

‘তবে কি জানেন কালের পটেও বিশেষ অবস্থা, পাত্র, পাত্রী বা ঘটনার ছায়া পড়ে যায় । আবার বিশেষ অবস্থা হলে ফোটোর মত সেগুলো দেখা যায় । বলা যায় না কিছু ।’ লীলা মজুমদারের অমোঘ বানী ।

একে তো আষাঢ় মাস । আষাঢ়ের ধারা যতদিন আছে আষাঢ়ে কাহিনীকে বাদ দেওয়া যাবে না। এই তো সেদিন রায়পুর গ্রামে গিয়ে লর্ড সিনহাদের জমিদার বাড়ী দেখতে গিয়ে মনে হল এই যে ভাঙা দালানে আলো এসে পড়েছে আর সেই আলোছায়ায় জমিদারির আলোচনা সেরে নিচ্ছেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাড়ীর কর্তার সাথে । শান্তিনিকেতনের কাছে এই গ্রামে লর্ড সিনহাদের জমিদারি ছিল । যাঁর নামে লর্ড সিনহা রোড । ওনাদের কাছ থেকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনের জমিটা কিনেছিলেন । পরবর্তীকালে মৃণাল সেনের ‘খন্ডহার’ ছবিটির এখানে শুটিং হয় ।
এসব যখন ভাবছি তখনই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি এল । কেউ বলে উঠল পেছন থেকে ‘কাট’ । উপুর ঝুপুর বাদলধারা আলোছায়া ঢেকে দিল । টোটো চালক ভাই বলল ‘ দিদি গাড়ীতে ওঠ, এই জলে তেনারা আবার ফোঁস ফাঁস করে বেড়িয়ে পড়েন আর বাতাসে কারা যেন ফিসফিস করে ‘। তা বটে এ কথা তো মেনে নিতেই হয় । কালের পটে কার ছায়া কখন ভেসে ওঠে কে বলতে পারে । সিনেমার পর্দা আর পৃথিবীর আঙ্গিনা দুই যে কালের পট ।

ইন্দ্রাণী ঘোষ। 

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *